পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়খরা

লিটন বললেন, ‘রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না’

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টি-টোয়েন্টিতে মূল দলের লড়াইয়ে নয় বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় নেই বাংলাদেশের। তবে অতীত নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ লিটন দাস বদলাতে চান এই হতাশাজনক রেকর্ড। সেজন্য টাইগারদের অধিনায়ক সতীর্থদের তাগিদ দিলেন ভালো ক্রিকেট খেলার।

আগামীকাল রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। খেলা মাঠে গড়াবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায়।

পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সংস্করণে ২২ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র তিনটি। এর মধ্যে একটি আবার ২০২৩ সালে চীনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে। ওই আসরে কোনো দলই মূল খেলোয়াড়দের নিয়ে অংশগ্রহণ করেনি। সেটা বাদ দিলে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে শেষবার হারিয়েছিল ২০১৬ সালের মার্চে। মিরপুরে এশিয়া কাপের ওই ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা।

টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়টিও এসেছিল মিরপুরে। ২০১৫ সালে স্বাগতিকরা জিতেছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে। তবে মূল দলের লড়াইয়ে সবশেষ ১২ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে সবকটিতেই হেরেছে তারা। গত মে-জুনে দেশটিতে সফরে গিয়ে সবশেষ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে এমন নাজুক পরিসংখ্যান পাল্টাতে আশাবাদী লিটন। সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, 'আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে হবে। সব কিছু তৈরি হয় ইতিহাস হওয়ার জন্য। আর রেকর্ড কিন্তু ভাঙাও হয়। আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলি, রেকর্ড ভাঙতে সময় লাগবে না। ওই রেকর্ডের চিন্তা না করে, আমরা কী করতে পারি, আমাদের কতখানি সামর্থ্য আছে, কতটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেসব ভাবলে ওই সব জিনিসই (আগের রেকর্ড) বদলে যাবে।'

বাংলাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকায় প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন তিনি, 'যে কোনো দলকে হারানোর মতো মানসিকতা আমাদের আছে। আমরা সেই চেষ্টাই করব। তবে আপনাকে নির্দিষ্ট দিনে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তার মানে এই না যে, হোম কন্ডিশন বলে আমরাই ভালো ক্রিকেট খেলব। আগেও বলেছি, পাকিস্তান ভালো দল। তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বিপিএল খেলে থাকে। তারাও এই কন্ডিশনটা সম্পর্কে জানে। আমরা চেষ্টা করব, ভালো ক্রিকেটটা খেলার।'

বাংলাদেশের অধিনায়কের ধারণা, উইকেট যেমনই হোক না কেন, লড়াই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, 'আমার মনে হয়, হাই স্কোরিং না হলেও খেলাটা জমবে খুব। দুই দলই কাছাকাছি থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Industrial output soars, but where are the jobs?

Over the past decade, more and more industries have sprung up across the country, steadily increasing production. But while output rose, factories did not open their doors to more workers.

10h ago