ইমনের দারুণ ইনিংস, বড় জয়ের তৃপ্তির মাঝেও যা নিয়ে আক্ষেপ লিটনের

Litton das

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে যেভাবে জেতা দরকার ঠিক সেভাবেই জিততে পেরেছে বাংলাদেশ দল। বড় পুঁজি দাঁড় করানো গেছে, বোলাররা সামাল দিয়েছেন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি, জয় এসেছে বড় ব্যবধানেই। তবে তাও আক্ষেপ আছে বাংলাদেশের অধিনায়কের। শেষ তিন ওভারে পর্যাপ্ত রান আনতে না পারায় দুইশোর নিচে থামতে হয়। যা লিটনের মতে বড় জয়েও অপূর্ণতা।

শারজায় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক দলকে ২৭ রানে হারায় বাংলাদেশ।  কুড়ি ওভারের বিবেচনায় বড়  জয়ই। আগে ব্যাটিং পাওয়া সফরকারী দল ইমনের সেঞ্চুরিতে করে ১৯১ রান। এক পর্যায়ে বিপদজনক ব্যাট করা আমিরাত থামে ১৬৪ রানে।

৯ বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এদিন বাংলাদেশ পেয়েছে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান। ইমন খেলেন ৫৪ বলে ১০০ রানের ইনিংস। ওপেনারের এমন ইনিংসের পরও বাংলাদেশ ছাড়াতে পারেনি দুইশো। ১৭ ওভার শেষে দলের রান ছিলো ১৬৯৷ শেষ ১৮ বলে আসে আর ২২ রান।

ম্যাচ শেষে এই জায়গাকে চাঁদের কলঙ্কের মতন দেখছেন লিটন, 'হ্যাঁ অবশ্যই (ভালো স্কোর ছিল)। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। (পারভেজ হোসেন) ইমন যেভাবে ব্যাটিং করেছে, খুবই দারুণ ছিল। তবে আমাদের আরও ভালোভাবে শেষ করতে হবে। কারণ শেষ ৩ ওভারে আমরা তেমন বেশি রান করতে পারিনি।'

রান তাড়ায় আমিরাত পায় দুর্দান্ত শুরু। অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম ও রাহুল চোপড়ার জুটিতে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো তাদের জয় বেশ সম্ভব। তৃতীয় উইকেটে ৬২ রানের জুটি ভাঙার পর খেই হারায় দলটি৷ আসিফ খান চেষ্টা চালালেও লাভ হয়নি।

মাঝের ওভারে দারুণ বল করেন মোস্তাফিজুর রহমান।৪ ওভারের স্পেলে ১৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। তানজিম হাসান সাকিব ২২ রানে পান ২ উইকেট। ৩৩ রানে ৩ শিকার ধরেন হাসান মাহমুদ।

বোলারদের তাই আলাদা করে বাহবা দিলেন লিটন, 'অবশ্যই (বোলারদের কৃতিত্ব)। আমি জানি, যে কোনো সময় আমার বোলাররা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। আমাদের বোলারদের শক্তি আমি জানি। একইসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা খুব ভালো খেলেছে। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, যেভাবে মাঝের ওভারে তারা ব্যাটিং করেছে। আমাদেরকে নিজেদের বোলিংয়েও মনোযোগ দিতে হবে। এই মাঠ ও উইকেটে কোন ধরনের বোলিং কাজে লাগবে, সেটি শিখতে হবে।'

সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামার সুযোগ দেখছেব লিটন, অবশ্যই আত্মবিশ্বাস (পরের ম্যাচের জন্য নেবো)। যেভাবে সবাই বোলিং করেছে, স্থিরতা দেখিয়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে মনে হচ্ছিল ফিফটি-ফিফটি। তবে যেভাবে সব বোলার বোলিং করেছে, দুর্দান্ত ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

8h ago