গোপালগঞ্জে মোট ৮ মামলায় আসামি ৮৪০৮, কারাগারে ৩২১

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভা ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪টি হত্যা মামলা করেছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানায় কারা এই নতুন ৪ মামলায় ৫ হাজার ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত ১৬ জুলাইয়ের ওই ঘটনায় মোট মামলায় ৮ মামলায় ৮ হাজার ৪০৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন হত্যা মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এনসিপির পথসভায় হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ৫ জন নিহত হয়। তারা হলেন: গোপালগঞ্জ পৌরসভার উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (২৫), টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সোহেল রানা মোল্লা (৩৫), কোটালীপাড়া উপজেলার রমজান কাজী (১৮), ভেড়ার বাজারের ইমন তালুকদার (১৮) ও থানাপাড়া এলাকার রমজান মুন্সি (৩৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত রমজান মুন্সির পক্ষে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। বাকি চারজনের পক্ষে গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নিহত সোহেল রানার পক্ষে গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ, দীপ্ত সাহার পক্ষে উপপরিদর্শক শামীম হোসেন, ইমন তালুকদারের পক্ষে উপপরিদর্শক শেখ মিজানুর রহমান ও রমজান কাজীর পক্ষে উপরিদর্শক মো. আইয়ুব আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
এর আগে, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে মোট ৪টি মামলা করা হয়। গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো করে পুলিশ। চার মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ৬৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বুধবারের ওই ঘটনায় আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩২১ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জেলার পাঁচটি থানা সূত্রে জানা যায়, সদর থানায় নতুন ৯ জনসহ ১০১ জন, কাশিয়ানীতে ৭৭ জন, মুকসুদপুরে ৮৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২৭ জন ও কোটালীপাড়ায় নতুন ৬ জনসহ ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এনসিপির সমাবেশ ঘিরে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে পরিস্থিতি অবনতি হলে সেদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়িয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত করেন।
এর মধ্যে শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল ছিল। শনিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত আবার কারফিউ জারি করা হয়।
আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
Comments