বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ৭১ নাগরিক ফিরে গেছেন

৩৪ নম্বর সীমানা পিলার সংলগ্ন আমবাগান দিয়ে তারা নিজ দেশে ফিরে যান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের প্রায় ৭১ জন নাগরিক নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর এই সদস্যরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশফাঁড়ি সীমান্ত এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। 

কক্সবাজার ৩৪ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খাইরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, গতকাল ও আজ মঙ্গলবার দুই দফায় ২০ পরিবারের প্রায় ৭১ জন নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমারে ফিরে গেছেন।

বিজিবি জানায়, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াই চলাকালে তারা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশি তঞ্চঙ্গ্যা আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতদের বাড়িতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। 

খাইরুল আলম বলেন, 'বর্তমানে ওপারের পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় তাদের বুঝিয়ে স্বেচ্ছায় ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে।'

স্থানীয়রা জানান, ৩৪ নম্বর সীমানা পিলার সংলগ্ন আমবাগান দিয়ে তারা নিজ দেশে ফিরে যান।

২০২৩ সালের শেষের দিকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির তীব্র লড়াই শুরু হয়। 

গত বছর ডিসেম্বরে মংডু শহর দখলে নেওয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকা এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দখলে চলে যায়। 

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।

তারা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন। 

এর আগে, ২০১৭ সালে সামরিক জান্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। 

রোহিঙ্গা ছাড়াও অন্য সম্প্রদায়ের কিছু মানুষও সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Rangpur mob violence victims’ families decry police inaction

Four arrested, some culprits have gone into hiding, local police say

1h ago