রাউজানে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন-গাড়ি ভাঙচুর, আহত অন্তত ১০

সংঘর্ষের সময় একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে হালদা নদীর সাত্তারঘাট পয়েন্টে সেতুর কাছে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় ৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। 

সংঘর্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ নেতা গোলাম আকবর খন্দকার আহত হন। 

সংঘর্ষের পেছনে প্রতিপক্ষ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর দিকে ইঙ্গিত করেছেন গোলাম আকবরের লোকজন।

সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাউজানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

আহতদের মধ্যে আরও আছেন রাউজান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাবেক সচিব নাসিম উদ্দিন চৌধুরী, তার এপিএস আশিকুর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, আওরঙ্গজেব, নাইম উদ্দিন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রাউজান উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের কবরে দোয়া করার জন্য তার বাসভবনের দিকে যাচ্ছিলেন গোলাম আকবর ও অনুসারীরা। 

তারা হালদা ব্রিজের কাছে পৌঁছালে প্রায় ১০০ জনের একটি দল তাদের বাধা দেয় এবং গাড়িবহর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

পরে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে আকবরের গাড়িবহরের ৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় এবং জিপ ভাঙচুর করে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

হামলার পর বিএনপি নেতা গোলাম আকবর সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাকে আগেই জানানো হয়েছিল যে তারা আমার ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে। আমি পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কিন্তু যখন নির্ধারিত সফরে যাচ্ছিলাম, তখন প্রায় ৫০-১০০ জন লোক আমার গাড়িতে হামলা করে।'

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্তু দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সহায়তায় উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে। অভিযোগ পেলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।'

গোলাম আকবরের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে এসপি বলেন, 'তিনি আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন এবং পুলিশ তাকে সতর্ক থাকতে বলেছিল। হামলার পর আমরা উভয় পক্ষের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের শান্ত থাকতে বলেছি।'

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বাড়িতে ছিলাম এবং গত ১০ দিন ধরে জ্বর-কাশিতে ভুগছি। কাশির কারণে আমি ঠিকমতো কথা বলতে পারছি না—তাহলে আমি কীভাবে হামলার নির্দেশ দিতে পারি? এটা আমার বিরুদ্ধে স্পষ্ট মিথ্যা অভিযোগ।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

7h ago