নিরাপত্তা শঙ্কায় এশিয়া কাপ হকি থেকে সরে দাঁড়াল পাকিস্তান

দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক উত্তেজনার ছায়া আবারও পড়ল খেলাধুলার ময়দানে। ভারত সরকারের সবুজ সংকেত থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তা শঙ্কা ও সরকারি অনুমোদনের জটিলতায় ভারতের রাজগিরে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপ হকি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।

আগামী ২৯ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের বিহার রাজ্যের রাজগিরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এশিয়া কাপ হকির। কিন্তু বুধবার (৭ আগস্ট) হকি ইন্ডিয়ার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, পাকিস্তান হকি ফেডারেশন (পিএইচএফ) এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে (এএইচএফ) আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুকে সেই কর্মকর্তা বলেন, 'পাকিস্তান হকি ফেডারেশন আজ এশিয়ান হকি ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, নিরাপত্তা কারণেই তারা এবারের এশিয়া কাপে খেলতে পারছে না। আমরা এরপর বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।'

ভারত সরকার আগেই আশ্বস্ত করেছিল যে, টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের অংশগ্রহণে কোনও বাধা থাকবে না। এমনকি ভিসা প্রসেসও শুরু হয়েছিল। তবে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন ভেন্যু পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েও অনীহা প্রকাশ করেছিল।

পরবর্তীতে পাকিস্তান সরকার নির্দেশনা দেয়, ভারত থেকে আসা কোনও আমন্ত্রণ সরাসরি গ্রহণ করা যাবে না, যদি না স্পষ্ট সরকারি অনুমোদন থাকে। ফলে নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান দল অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

পিএইচএফ সভাপতি তারিক বুগতি এক বিবৃতিতে বলেন, 'বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের খেলোয়াড়রা ভারতে খেলতে গেলে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। সেই কারণেই আমরা আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমাদের খেলোয়াড়রাও এশিয়া কাপে অংশ নিতে অনাগ্রহী।'

এর প্রভাব পড়তে পারে জুনিয়র বিশ্বকাপেও। চলতি বছরের শেষ দিকে ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠেয় জুনিয়র হকি বিশ্বকাপেও পাকিস্তানের অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। অতীতে ২০১৬ সালেও, পঠানকোট ও উরি হামলার পর ভারত আয়োজিত বিশ্বকাপ এড়িয়েছিল পাকিস্তান।

পাকিস্তান পুরুষ হকি দল সর্বশেষ ভারত সফর করেছিল ২০২৩ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। সেখানে তারা ছয় দলের মধ্যে পঞ্চম হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English
banks loss in stock market Bangladesh

31 banks lost Tk 3,600cr in stock rout last year

Thirty-one banks suffered combined losses of Tk 3,600 crore from their stock market investments last year, largely because of poor decisions, misuse of funds and a sluggish market..State-owned banks were hit the hardest, while private commercial banks also reported losses despite being kno

11h ago