৩২ নম্বরে বাড়তি নিরাপত্তা, পিটুনি দিয়ে ২ জনকে থানায় হস্তান্তর

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নিতে শুরু করে ছাত্র-জনতা | ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় দুইজনকে পিটুনি দিয়ে থানায় হস্তান্তর করেছে উপস্থিত ছাত্র-জনতা।

তাদের দাবি, ওই দুইজন আওয়ামী লীগের কর্মী।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আওয়ামী লীগ অথবা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী সন্দেহে ছাত্র-জনতা দুইজনকে থানায় সোপর্দ করেছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।'

তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেননি ক্যশৈন্যু মারমা।

এদিকে ১৫ আগস্ট ঘিরে সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতা অবস্থান নিতে শুরু করে।

সেখানে কথা হয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক এম কে মিলনের সঙ্গে। তিনি বলেন, '৩২ নম্বরে যাতে কেউ নাশকতা করতে না পারে—এ ধরনের যেকোনো চেষ্টা প্রতিহত করতে আমরা এখানে জড়ো হয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'এখানে পুলিশ আছে, পাশাপাশি আমরাও আছি।'

রাত ১০টার দিকে সেখানে শতাধিক মানুষকে অবস্থান করতে দেখা যায়।

ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

তিন দফা দাবিতে রাষ্ট্র সচেতন নাগরিক ব্যানারে কয়েকজনকে অবস্থান করতে দেখা যায়। তাদের একজন মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, 'আমাদের দাবি সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে হাজার হাজার জাসদকর্মীদের হত্যার দায়ে শেখ মুজিবের মরণোত্তর বিচার; শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট শাসক ঘোষণা এবং জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ইতিহাস ও শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী চরিত্র মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তকে বাধ্যতামূলক লিপিবব্ধ করা।'

'আমাদের শেষ দাবি, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসন ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ সার্বিক দেখভাল করার জন্য 'জুলাই-আগস্ট অধিদপ্তর' প্রতিষ্ঠা করা,' বলেন মাহফুজুর রহমান।

ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

ক্যশৈন্যু মারমা আরও বলেন, '১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি।'

তিনি বলেন, 'এখানে সব সময় টহল টিম থাকে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অতিরিক্ত এক প্লাটুন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Crores spent, but Ctg roads still crumble

Commuters in Chattogram are enduring severe hardships due to the appalling condition of major roads, a crisis worsened by the apparent indifference of the authorities.

6h ago