‘যেটায় আউট হওয়ার কথা, সেটা ৬ হয়ে যাবে’— উডের কাছে শিখছেন জাকেররা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি— সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিংয়ে দুর্বলতা রয়েছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের। বড় শট খেলার এই ঘাটতির কারণে ম্যাচ বের করে আনতে ব্যর্থ হওয়ার চিত্র দেখা যায় বারবার। তা বদলাতে এশিয়া কাপের আগে বিশেষজ্ঞ পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চার সপ্তাহের চুক্তিতে বাংলাদেশে এসে প্রথমে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে বিশেষ সেশন করেন ব্রিটিশ নাগরিক উড। এরপর বিকেএসপিতে গিয়ে অনুশীলন করান নারী ক্রিকেটারদের। সবশেষে তিনি মনোযোগ দিয়েছেন মূল দায়িত্বে— আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি ক্যাম্পে থাকা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পাওয়ার হিটিংয়ের বিভিন্ন কৌশল শেখাচ্ছেন। ঢাকায় তিন দিনের অনুশীলন শেষে সিলেটে যাবেন উড। সেখানে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তুতি পর্বে থাকবেন তিনি।

উডের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন সেটা সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের কাছে শুনিয়েছেন জাকের আলী অনিক, 'জুলিয়ান মূলত আমাদের পাওয়ার হিটিংয়ের কিছু স্কিল নিয়ে কাজ করছেন। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়, যারা জেনেটিক্যালি ভালো আছে, তারা কীভাবে আরও ভালো করতে পারে আর যারা টাইমার, তাদের কীভাবে আরও ২-৩ মিটার (শটের) দূরত্ব বাড়ানো যায়, ওই জিনিসগুলোর স্কিল নিয়ে কাজ করছেন।'

ছবি: বিসিবি

একেক ক্রিকেটারের শট খেলার ধরন একেক রকমের। পাওয়ার হিটিং শেখাতে গিয়ে সেটা আমূল বদলে দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই উডের, বরং তিনি আলাদা আলাদা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন বলে জানিয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকের, 'একেক জনের ব্যাটের সুইং একেক রকম। কারও সুইং গলফের মতো, কারও বেসবলের মতো। এটা যার যার ওপর নির্ভর করে কে কোনটা নেবে। জুলিয়ান এখানে আসার পরই আমাদেরকে বলেছেন, "তোমাদের মৌলিক জায়গার ওপর নির্ভর করেই আমি পরিবর্তন আনতে চাই। ভিন্ন কিছু দিয়ে দেব না।" যার যার ধরন অনুযায়ী কাজ দিয়েছেন তিনি।'

তিনি যোগ করেছেন, 'যারা টাইমার, তাদেরকে আরও কীভাবে ৫-৬ মিটার উন্নতি, টাইমারদের কিন্তু সে পাওয়ার হিটার হতে বলে নাই। তারা টাইমারই থাকবে। যারা টাইমিং করে, তারা কীভাবে তাদের শটগুলো ৪-৫ মিটার বা ৬ মিটার বা আরেকটু বাড়াতে পারে… এতে কী হবে, যেটায় আউট হওয়ার কথা, সেটা ছয় হয়ে যাবে। এগুলোই শেখাচ্ছে…।'

উডের ক্লাসের সুবাদে খুব দ্রুতই সুফল আসবে এমন আশা করছেন না জাকের। তবে তার মতে, চেষ্টা চালিয়ে গেলে ইতিবাচক কিছু মিলবে, 'এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কী উন্নতি হলো, কী না হলো, এগুলো বুঝতে আরেকটু সময় লাগবে। কিন্তু আমাদেরকে যে কাজগুলো দেওয়া হয়েছে, আমরা করার চেষ্টা করছি। তবে সুইং প্র্যাকটিসগুলো কিংবা ভিন্ন ভিন্ন ড্রিলগুলো অবশ্যই কাজে আসবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Biman flies high with record profit in FY25

Of its 55-year journey, the national flag carrier posted profit in 26 years

11h ago