খেলোয়াড় সংকটেও ইতিবাচক কাবরেরা

আগামী সেপ্টেম্বরের দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে বেশ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। নেপালের মাটিতে ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচ দুটির প্রস্তুতি তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড না পেয়েও।
দেশের শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের ১০ ফুটবলার আগামী মাসে জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। এর আগেই ১৫ আগস্ট মাত্র ১৩ খেলোয়াড় নিয়ে অনুশীলন শুরু করেন কাবরেরা। কিংস তাদের খেলোয়াড় ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় মৌসুম-শুরুর প্রস্তুতি ও চোটের ঝুঁকির কারণ দেখিয়ে। ফলে ঘাটতি পূরণে ৪০ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ কোচ ডেকে নিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আট ফুটবলারকে।
জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকালের অনুশীলনের আগে সংবাদমাধ্যমকে কাবরেরা বলেন, 'এখন ক্যাম্পে আমাদের হাতে ১৩ জন সিনিয়র খেলোয়াড় আছে। অনেকে অনূর্ধ্ব-২৩ দলে, আর কিংসের ফুটবলাররা নিজ ক্লাবেই রয়েছে। তাই আমরা কিছু অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড় এনেছি, এবং এ পর্যন্ত পাওয়া ইতিবাচক সাড়া আমাদের খুশি করছে।'
'আমার মনে হয় এটি কার্যকর হবে। প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় আছে। কিংসের খেলোয়াড়রা আগামী মাসে এলে নেপাল ম্যাচের আগে তাদের নিয়েও আমরা ভালোভাবে কাজ করতে পারব,' যোগ করেন এই কোচ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আশা করছে, ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী সরাসরি নেপালে গিয়ে দলে যোগ দেবেন। তবে কানাডায় থাকা সামিত শোম এই দুটি প্রীতি ম্যাচে খেলতে পারবেন না। তবুও কাবরেরার দৃষ্টি এখন তরুণদের দিকে।
'যত বেশি ম্যাচ খেলব, তত বেশি ফুটবলার ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হবে। এখনও অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় আছে, তবে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের আসায় কিছু সিনিয়রের খেলার সময় কমে যাবে। এ সুযোগে তরুণরা নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাবে। নেপাল সফরের আগে আমরা কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব, যা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে,' বলেন কাবরেরা।
এ ছাড়া তিনি স্বীকার করেন যে, বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং জাতীয় দল কমিটির সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসেছেন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সূচি নিয়ে। কাবরেরার ভাষায়, 'ইমরুল ভাইয়ের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না, বরং আমাদের মূল লক্ষ্য খেলোয়াড়দের যথাযথ প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।'
Comments