দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

বুয়েটে সকাল ১০টার দিকের চিত্র। বেশ কয়েকটি বিভাগে কাউকে দেখা যায়নি। ছবি: এমরান হোসেন/ স্টার

তিন দফা দাবি ও গতকালের বিক্ষোভে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজ সারাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

গত রাতে 'প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন' প্ল্যাটফর্ম থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বলা বুয়েট, চুয়েটসহ অন্যান্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।

ছবি: এমরান হোসেন/ স্টার

বুয়েটে আজ বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্ধ। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন এই কর্মসূচির সমর্থনে নির্ধারিত পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। দ্য ডেইলি স্টার ফটোসাংবাদিক জানিয়েছেন, সকাল ১০টার দিকে বুয়েটের বেশ কয়েকটি বিভাগে কাউকে দেখা যায়নি।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক জরুরি নোটিশে স্নাতক পর্যায়ের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে।

বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এন এম গোলাম জাকারিয়ার সই করা নোটিশে বলা হয়েছে, 'বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৩০ আগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত সব স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।'

ডেইলি স্টারের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও (চুয়েট) সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছে, যার ফলে ক্যাম্পাস জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। ছবি: রাজীব রায়হান/ স্টার

নিরাপত্তাকর্মীরা নিশ্চিত করেছেন যে কিছু কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলেও, গত রাত থেকে কোনো শিক্ষার্থী সেখানে নেই।

গতকাল শাহবাগ মোড় অবরোধের পর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চাইরে পুলিশ বাধা দেয়।

ছবি: রাজীব রায়হান/ স্টার

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের কাছে পুলিশ মিছিলটি থামিয়ে দিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, জলকামান নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।

গত রাতে এক ব্রিফিংয়ে 'প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন-এর সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল হক লিপু জানান, পরবর্তী কর্মসূচি আজ বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

1h ago