জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ গণঅধিকার পরিষদের ৩ দাবি

ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় দলটি সরকারের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছে।

দাবিগুলো হলো—গতকালের ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন; দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করতে হবে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান দাবিগুলো ঘোষণা করেন।

রাশেদ বলেন, 'আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই যে, তারা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু শিরদাঁড়া উঁচু করেন। সেনাবাহিনীর যারা, পুলিশের যারা আমাদের কার্যালয়ের সামনে এসে, আমাদের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে তছনছ করেছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।'

তিনি বলেন, 'একটু আগে খবর পেলাম, বাংলাদেশের তিনটা বড় দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিকে নিয়ে আগামীকাল (রোববার) বৈঠকের আয়োজন করেছে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে। গণঅধিকার পরিষদ কি বানের জলে ভাইসা আইছে?'

'আমার স্পষ্ট ঘোষণা, আগামীকাল তিন দলের সঙ্গে কোনো বৈঠক হবে না। আগামীকাল বৈঠক হবে সর্বদলীয় বৈঠক। যদি তিন দলের সঙ্গে বৈঠক করে বাকি দলগুলোর সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করেন, ওই যমুনা কিন্তু ঘেরাও করা হবে,' হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর 'লাল শার্ট' পরা এক ব্যক্তি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদ জানান, ওই ব্যক্তি পুলিশের কনস্টেবল। তার নাম মিজানুর রহমান। তার বিপি নম্বর ৯৭১৭১৯৭২৪৩।

'সে নুরের ওপর হামলা করে নাই। সে নুর মনে করে আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা সম্রাটের ওপরে হামলা করেছে। কারণ সম্রাটের পাঞ্জাবির রঙ আর নুরের পাঞ্জাবির রঙ প্রায় একই রকম ছিল। চেহারায় কিছুটা মিল আছে এবং কাছাকাছি বসা ছিল,' বলেন রাশেদ।

তিনি আরও বলেন, 'এই তথ্য আমি ডিএমপি কমিশনারকে পাঠিয়েছি। আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, এই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ডিএমপি কমিশনার আমাকে বলেছেন যে, তাকে তারা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা বলতে পারবো না। আমাকে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'এই হামলার যদি বিচার না করেন, তাহলে আপনাদের বিচার কিন্তু জনগণ করবে। এক বছরে কিচ্ছু পারেন নাই। পুলিশের সংস্কার, সেনাবাহিনীর সংস্কার, ডিজিএফআই-এনএসআর সংস্কার করতে পারেন নাই। আসলে আপনারা শুধু আপনাদের পকেট ভারী করেছেন, আপনাদের সংস্কার করেছেন।'

'অনেকে আমাকে বলছে, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, এই ঘটনার পরে আরেকটি এক-এগারো নেমে আসতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। আমাদের স্পষ্ট ঘোষণা, এই সরকার ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা মনে করি ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন বানচালের কোনো সুযোগ নাই,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus promises election on time

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday reaffirmed his commitment to holding the 13th national election in the first half of February next year.

6h ago