অধিনায়ক লিটনের ছন্দে বড় টুর্নামেন্টে আশা দেখছেন তাসকিন 

Litton Das

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অনায়াসে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তার দারুণ বোলিংয়ে পাওয়া সহজ লক্ষ্যে এরপর জ্বলে উঠেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। চোখ ধাঁধানো সব শটে তুলে নেন ফিফটি, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক ফিফটিতে সাকিব আল হাসানকে স্পর্শ করেন তিনি। পেসার তাসকিন আহমেদ লিটনের ছন্দে থাকাকে দেখছেন বড় আসরের আশাবাদী ফলের আভাস হিসেবে।  

সিলেটে শনিবার ২৯ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন লিটন। ফলে ডাচদের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সহজে আট উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। গত মাসে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচে মোটে ১৭ রান করতে পারা লিটন এই ম্যাচে আবারও নিজের চেনা রূপের আভাস দিলেন। এ বছর ১৩ টি-টোয়েন্টিতে এটি তার দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি। এর আগে জুলাইয়ে ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ বলে ৭৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ওই সিরিজে সিরিজ সেরাও হয়েছিলেন লিটন। 

এমনিতে লিটনের রান ছিলো অনিয়মিত। ধারাবাহিকতা এখনও তার বড় ঘাটতি, যা দলের জন্য উদ্বেগের কারণ। চলতি বছর চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে একবারও টানা ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারেননি তিনি। তবুও বাংলাদেশ এখনও ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটারের ওপরই ভরসা রাখে নির্দিষ্ট দিনে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার জন্য।

তাসকিন ২৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডসকে ১৩৬ রানে থামালেও লিটনের ফর্মে ফেরাটা সবচেয়ে বড় ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তিনি, 'লিটন অসাধারণ ব্যাট করেছে। দলে তার ফর্মে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।' 

'সে ধীরে ধীরে আবার নিজের ছন্দ ফিরে পাচ্ছে। যদি ধারাবাহিক হতে পারে, সামনে বড় টুর্নামেন্টগুলোতে দারুণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।'

লিটন রান তাড়ায় একা ছিলেন না। চার বছর পর আন্তর্জাতিক দলে ফিরে সাইফ হাসানও অসাধারণ খেললেন— মাত্র ১৯ বলে অপরাজিত ৩৬ রান করলেন এবং এর আগে বোলিংয়ে দুই উইকেট নিলেন, 'সাইফ দারুণ অবদান রেখেছে। প্রথমে দুই উইকেট নিয়েছে, পরে দারুণ ব্যাট করে ম্যাচ শেষ করেছে।'

তাসকিন পাওয়ারপ্লের ভেতরে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন এবং পুরো স্পেলে নেদারল্যান্ডসকে চাপে রাখেন। এর সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি— ডাচদের বিপক্ষে যা তার দ্বিতীয়। নিজের পারফরম্যান্সে তৃপ্তি এই ডানহাতি পেসার, 'উইকেটটা ব্যাটিং বান্ধব ছিল, শিশিরের কারণে বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জিংও ছিল। তারপরও আমরা তাদের ছোট স্কোরে আটকে রাখতে পেরেছি, এতে আমি খুশি। ইনজুরি থেকে ফেরার পর কঠোর পরিশ্রম করছি, ছন্দও ভালো হচ্ছে। আশা করি আরও উন্নতি করতে পারব।' 

বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে মাত্র ১৩.৩ ওভারে, লিটন ও সাইফ জুটিতে জয় নিশ্চিত করে।

Comments

The Daily Star  | English

5G goes live, but with few phones to connect

Bangladesh’s long-awaited 5G rollout began this week, but a lack of compatible handsets means the next-generation network is unlikely to see mass adoption anytime soon.

2h ago