চবিতে সংঘর্ষের পর থমথমে পরিস্থিতি, জারি থাকছে ১৪৪ ধারা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা ক্যাম্পাসে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ থামার একদিন পরও ক্যাম্পাস ও দুই নম্বর গেট এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী আশেপাশের ভাড়া বাড়ি থেকে চলে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই নম্বর গেট এলাকায় কিছু দোকান খোলা থাকলেও মানুষের চলাচল সীমিত। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেখানে সেনাবাহিনী ও র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) অবস্থান করছেন এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা হলেও সব ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। চবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ সকল ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এছাড়া, দুই নম্বর গেটের আশেপাশে থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ বাসস্থানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো উন্মুক্ত রাখা হবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচও বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে।

হামলার ঘটনায় আজ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি জোবরা এলাকায় থাকা লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও জোবরা-ফতেপুর এলাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের জন্য ২১ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির দায়িত্বে থাকবেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর ১টায় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে।

দর্শন বিভাগ ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নাঈম আহমেদ বলেন, 'স্থানীয়দের হামলার পর আমরা যারা ক্যাম্পাসের বাইরে থাকি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমি এখন আবাসিক হলে একজন সিনিয়রের রুমে অবস্থান করছি। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত সমস্যার সমাধান করুক।'

চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কালাম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার।'

Comments

The Daily Star  | English

Reward for looted police firearms brings no tips

More than 1,300 firearms and over 2,50,000 rounds of ammunition remain missing, with many reportedly now in the hands of criminals

1h ago