ছাত্রীদের নিয়ে ছাত্রদল নেতার আপত্তিকর মন্তব্য, কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে রাবি প্রশাসন

ছবি: স্টার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জুলাই ৩৬ আবাসিক হলের ছাত্রীদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন শাহ মখদুম হল শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি আনিসুর রহমান মিলন।

আজ বুধবার রাত ১০টার দিকে জুলাই ৩৬ হলের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন।

অভিযোগ উঠেছে, 'রাতে দেরিতে হলে প্রবেশ করায় ৯১ ছাত্রীর নাম পরিচয় তুলে ধরে তালিকা প্রকাশ করলেন প্রাধ্যক্ষ' শীর্ষক একটি ফটোকার্ডের নিচে মিলন আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন।

মিলন দর্শন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে আনিসুর রহমান মিলনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া, তার ফেসবুক আইডিও ডিঅ্যাক্টিভেট পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, ওই কমেন্ট এবং বাকি সবগুলো কমেন্ট আমাদের নজরে এসেছে। আমরা আগামীকালই ওই ছাত্রনেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবো। এছাড়া, রাবির যে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, যেমন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ এসব গ্রুপের অ্যাডমিনদের সঙ্গে কথা বলবো।

'সাইবার বুলিং প্রতিরোধে গঠিত সেলও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে,' বলেন তিনি।

ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, এ ধরনের মন্তব্য যারা করে, তারা কতটা অসুস্থ মন-মানসিকতার তা খুব সহজেই বোঝা যায়। এ ধরনের মানুষের কাছে কেউ নিরাপদ নয়।

তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান তিনি। আমিরুল আরও বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে বিষয়টি ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে তুলে ধরা হবে।

এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী ও সাধারণ সম্পাদক সরদার জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই ৩৬ হলের প্রভোস্ট কর্তৃক ৯১ জন শিক্ষার্থীকে অযাচিতভাবে তলব করার প্রতিবাদে ছাত্রদলের এক সহসভাপতির ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে শাহ মখদুম হলের সহসভাপতি এ আর মিলন খান কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

'কিন্তু এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলে তিনি দাবি করেন যে, ২ সেপ্টেম্বর থেকে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অন্য কারও নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তবে বিষয়টির সত্যতা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত সংগঠন তার পদ স্থগিত করেছে। যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, ওই মন্তব্য তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন, তাহলে ছাত্রদল থেকে তাকে আজীবন বহিষ্কার করার পাশাপাশি তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য ছাত্রদল বদ্ধপরিকর,' উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনাটির সত্যতা যাচাই ও সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলে—জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাকিলুর রহমান সোহাগ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক।

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Why are we trying to make the election uncertain?

Those who are working to prevent the election should question themselves as to how the people will be empowered without one.

14h ago