শিক্ষার্থীর চিঠি পেয়ে বিদ্যালয় ভবন নিমার্ণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বরগুনার বেতাগী উপজেলার জলিশাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. মাইনুল ইসলামের চিঠি পেয়ে বিদ্যালয় ভবন নিমার্ণের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ক্লাশে প্রথম স্থান অধিকারী মাইনুল তার বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল ২৯ ডিসেম্বর। সেদিন রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে এসেছিল সে।

জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় হওয়া মাইনুল পুরস্কার নেওয়ার সময় তার বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা জানিয়ে লিখে আনা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেয়। চিঠিতে সে উল্লেখ করে যে বিদ্যালয়টি বেড়িবাঁধের বাইরে ব্যারের ডোন নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এর ফলে তাদের লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে কষ্ট হয়। চিঠিটিতে সে একটি দোতলা ভবন কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র করে দেওয়ার অনুরোধ জানায়।

খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ওই বিদ্যালয়ের জন্য জরুরি ভিত্তিতে দোতলা ভবন কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে চিঠি দেয়। এরপর গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই বিদ্যালয়ের জন্য ভবন নির্মাণের নির্দেশনা দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দেয়।

জলিশাহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং মাইনুলের মা নুরুন নাহার বলেন, “আমরা খুবই আনন্দিত যে প্রধানমন্ত্রী একজন স্কুল ছাত্রের চিঠির জবাবে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন।”

তিনি আরো জানান যে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি সেসময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তবে ভাবতে পারেননি যে তিনি এই চিঠির জবাব দিবেন।