মাসে ১ রুপি বেতন নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রতিমাসে ১ রুপি করে বেতন নেন। ২০১১ সালে ২০ মে রাজ্যটির প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ৭০ মাসে মাত্র ৭০ রুপি ‘প্রতীকী’ বেতন তুলেছেন মমতা।

বর্তমান বেতন হিসাব করলে গত ৭০ মাসে মমতা ব্যানার্জির প্রাপ্ত ছিল ২৬লক্ষ ৪৬ হাজার রুপি, যারমধ্যে ২৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯৩০ রুপিই ত্রাণ তহবিলে জমা পড়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যানার্জি এতো দিন প্রতিমাসে ৩৭ হাজার ৮০০ রুপি পেতেন। যদিও আগামী মাস থেকেই তিনি পাবেন ৮৬ হাজার ৩০১ রুপি। নতুন বেতন থেকেও প্রতীকী বেতন হিসাবে মাত্র ১ রুপি করেই তুলবেন মমতা ব্যানার্জি। বাকি ৮৬ হাজার ৩০০ টাকা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে জমা হবে।  পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সচিবালয় সূত্র এই তথ্য জানা গেছে।

এই নিয়ে বিধানসভার মুখ্য সচেতন তথা চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ জানান, শুধু সরকারি বেতন নন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রাপ্ত সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা নেননা মমতা ব্যানার্জি। এমন কি নূন্যতম একটি গাড়িও নয়। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যে গাড়ি ব্যবহার করেন সেটার দাম মাত্র সাড়ে চার লক্ষ রুপি। সেটাও তাঁর নয়। এমন কি সাংসদ হিসাবে ৫৫ হাজার পেনশনের টাকাও নেন না মমতা ব্যানার্জি।

তৃণমূলের চিফ হুইপ আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই দলীয় নেত্রী বেতন না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। বলেছিলেন, সরকারি কোষাগার থেকে প্রতীকী বেতন হিসাবে মাত্র ১ রুপি নেবেন। সেটা এখনও অব্যহত রয়েছে।

এদিকে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় দি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালাউন্সেস (সংশোধিত) বিল ২০১৭ পাশ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ছাড়াও স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, তাঁর মন্ত্রীসভার সদস্য, নির্বাচিত বিধানসভার সদস্যদের বেতন বেড়েছে অনেকটাই। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পরিষদীয় দল নেতা ও দলের মহাসচিব শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভার বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির কথা জানান এবং বলেন, বদ্ধৃত বেতন ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago