শাহবাগে সংঘর্ষ

শিক্ষার্থীর চোখে আঘাত ভালো নাও হতে পারে: চিকিৎসক

গত ২০ জুলাই শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় তিতুমীর কলেজের একজন ছাত্রের চোখে যে গুরুতর আঘাত লেগেছে তা স্বাভাবিক নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
Siddikur Rahman
আহত শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

গত ২০ জুলাই শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় তিতুমীর কলেজের একজন ছাত্রের চোখে যে গুরুতর আঘাত লেগেছে তা স্বাভাবিক নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের চোখে অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা আজ এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।

পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘটের মাধ্যমে বিক্ষোভ করছিলেন। সেসময় পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠি-চার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। এসময় আহত হন সিদ্দিকুর রহমান।

আরও পড়ুন: শাহবাগে বিক্ষোভ: ১,২০০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ড. ইফতেখার মোহাম্মদ মুনির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “তাঁর একটি চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এবং অপরটি ওয়াশ করা হয়েছে। তবে সে দেখতে পাবে কিনা সে ব্যাপারে আমরা সন্দিহান।”

শিক্ষার্থী সিদ্দিকুরের চিকিৎসার জন্যে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে এবং তাঁর দীর্ঘদিন চিকিৎসার প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: শাহবাগে পুলিশের সাথে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

ড. ইফতেখারের মতে, সিদ্দিকুরের চোখে কোন ভারি বস্তুর আঘাত লেগেছে। যে কারণে তাঁর চোখ ও মুখ ফুলে গেছে।

তবে সহপাঠীরা সিদ্দিকুরের আহত হওয়ার কারণ বলতে পারেননি। তাঁর একজন সহপাঠী বলেন, সিদ্দিকুর শুধু বুঝতে পেরেছিলেন তাঁর চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে।

এদিকে, পুলিশ দাবি করেছে যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছোঁড়া ভারি বস্তুর আঘাতে সিদ্দিকুর আহত হয়েছেন।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Saber Hossain Chowdhury arrested

The Detective Branch of police arrested former environment minister Saber Hossain Chowdhury from the capital’s Gulshan area today

55m ago