ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লিটন দাসের ফিফটি
৪৯ রানের চার উইকেট পড়ার সময় নেমেছিলেন। নেমেই দেখলেন স্কোর হয়ে গেছে ৬৫ রানে ৬ উইকেট। টানা দুইবার ১০০ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় তখন কাঁপন ধরেছে বাংলাদেশের ইনিংসে। এরমধ্যে দাঁড়িয়েই ব্যাট করলেন লিটন দাস। খেললেন দৃষ্টিনন্দন সব শট। তুলে নিলেন টেস্টে তার দ্বিতীয় ফিফটি। আগেরটিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
৫৩ বলে নয় চারে ফিফটিতে পৌঁছান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। অপরপ্রান্ত তখন নড়বড়ে। এরপরও সেখানেই থামেননি। বাজে বল পেলেই মেরেছেন। যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন লড়েছেন বুক চিতিয়ে। ৭৭ বলে ৭০ রান করে মারতে গিয়েই আউট হয়েছেন। ১৩ চারের ইনিংস শেষ হয়েছে বল আকাশে তুলে। তখন হাতে ছিল দুই উইকেট। তবে লিটন ভরসা পাননি টেল এন্ডারদের উপর। যদিও টেল এন্ডার তাইজুল ইসলাম তার সঙ্গে গড়েছেন ৫০ রানের জুটি।
এরআগে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৪ উইকেটে ৫৭৩ রানের জবাবে নেমে শুরুতেই দিশেহারা হয়ে যায় বাংলাদেশ। তামিম নেই তাই ওপেনিংয়ে জুটি বেঁধেছিলেন ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার। ইনজুরিতে থেকে ফেরা সৌম্যের কাছে দাবি ছিল বড় কিছু। দুই চারে ৯ রান করে দায়িত্ব সারেন তিনি। রাবাদার লেগ স্টাম্প মুখি বল কিনা লেগ স্টাম্প থেকে সরে খেলতে গেলেন! প্রায় একই ভুল মুমিনুলের। প্রথম টেস্টে একটা ফিফটি পেয়েছিলেন। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারতেন। চার রান করেই লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যাওয়া অলিভিয়ারের বলে উইকেটের পেছনে তুলে দিলেন ক্যাচ।
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের উইকেট পেয়েছেন অলিভিয়ার। তবে তাতে সবচেয়ে বড় অবদান টেম্বা বাভুমার। গালিতে লাফিয়ে হাফ চান্সকে ক্যাচ বানিয়েছেন প্রোটিয়াদের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। টাইগার অধিনায়ক ফিরেছেন ৭ রান করে। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারানো দলকে দিশা দিতে পারেননি আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। চার রান করে ওয়েইন পারনেলের বলে তিনিও ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে।
২৬ রান করা ইমরুল কায়েস বিরতির পর এসেই উইকেটের পেছনে খোঁচা দিয়ে আউট। সাব্বির রহমান রাবাদাকে খেলতে গেলেন লফটেড ড্রাইভ। ফলাফল এক্সট্রা কাভারে সহজ ক্যাচ। বাদবাকি সময় দলের বিপর্যয়ে একা লড়েছেন লিটন।
Comments