হোয়াইটওয়াশই হলো বাংলাদেশ
আগের দুই ম্যাচে থেকেও বিবর্ণ ব্যাটিং, এলেবেলে বোলিং। দৃষ্টিকটু শরীরী ভাষা। সেরা পারফর্মমারদের দুএকজনকে বিশ্রাম দিয়েও সেই আগের মতই ঝাঁজালো দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ সব দিক থেকেই বিধ্বস্ত হয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে হারল ঠিক ২০০ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৯ রানের জবাবে বাংলাদেশ থামল ১৬৯ রানে। তিন ম্যাচ সিরিজের সবগুলোই জিতল স্বাগতিকরা।
টস জিতে আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৯ রানের টার্গেট পেরুনো দুরে থাক, বিন্দুমাত্র লড়াইও দেখা গেল না ব্যাটসম্যানদের। লড়লেন কেবল সাকিব আল হাসান। তার ৬৩ রান কেবল সান্তনাই দিয়েছে।৩৭০ রানের পাহাড় ডিঙাতে ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল ছিলেন না, আরেকবার মওকা পেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কাজে লাগাতে পারলেন কই। সেই খোঁচাই মেরেছেন রাবাদার বলে। তার আগেই অবশ্য দুই উইকেট নেই বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে ফিফটি পেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। এদিন ছয় বল খেলেই সারলেন দায়। লিটন দাস আবার ফিরেছেন প্যাটারসনের ভেতরে ঢুকা বলে। আগের দুই ম্যাচের ব্যাটিং হিরো মুশফিকুর রহিম এদিন খেলছিলেন রয়েসয়ে। ২১ বলে ৮ রান করে তিনিও বল তুলে দেন আকাশে। ৩৭০ তাড়া করতে নেমে ৫১ রানেই নেই ৪ উইকেট। ইনিংস বিরতিতেও যারা আশা ধরে রেখেছিলেন এতক্ষণে তারাও যেন মুখ লুকালেন। হতাশারও বিরক্তি আছে। বাংলাদেশের বেহাল দশায় হতাশা জানাতেও আগ্রহ থাকছে না সমর্থকদের।
টেস্ট সিরিজে এক ম্যাচ ফিফটি পেয়েছিলেন মাহমদউল্লাহ রিয়াদ। ওতেই দায় শেষ। ব্যাটে যেন তার মরচে পড়েছে। এবার আউট হয়েছেন ২ রান করে। ৬১ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে সামান্য দিশা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমান। ৬ষ্ঠ উইকেটে তাদের ৬৭ রানের জুটিতে ১০০ রানের ভেতর গুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকে বেঁচেছে বাংলাদেশ। তবে করতে পারেনি ২০০ রান। সাকিব-সাব্বির দুজনকেই তুলে নিয়েছেন অভিষিক্ত এইডেন মার্করাম।
১৩৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর বাকিটুকু কেবল আনুষ্ঠানিকতার। তা সারতে বেশি দেরি করেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক মাশরাফির ১৭ আর মিরাজের ১৫ রান কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে।
৫৬ বল আগে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৬৯ রানে। ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রোটিয়াদের সেরা বোলার ড্যান প্যাটারসন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করে ডু প্লেসি, ডি কক, মার্করামদের ব্যাটের দাপটে ৩৬৯ রান দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যার জবাব জানা ছিল না বাংলাদেশের।
Comments