হোয়াইটওয়াশের রাতেই ক্যাসিনোতে তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার!
দল ২০০ রানে হেরেছে। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওয়ানডে সিরিজে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। এর ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম ও নাসির হোসেনকে পাওয়া গেছে ইস্ট লন্ডনের ক্যাসিনোতে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে নির্ধারিত সময়ে হোটেলে ফিরলে এতে কোন শৃঙ্খলাভঙ্গ হয় না, যদিও তারা তিনজনেই রাত ১০টার অনেক পরে হোটেলে ফিরেছেন।
তৃতীয় ওয়ানডেতে হারার পর ক্রিকেটারদের বাঁধাধরা কোন রুটিন ছিল না। নিজেদের মতো সময় কাটাতে দেওয়া হয় ছুটি। তবে যেখানেই যান রাত ১০টার মধ্যে হোটেলে ফেরার বাধ্যবাধকতা তো রয়েছেই।
গণমাধ্যমে ম্যানেজার হিসেবে দলের সঙ্গে থাকা মিনহাজুল বলেন, ‘আমি তো ওদের জিজ্ঞেস করে জানলাম, ওখানে এই মলে ডিনার করতে গিয়েছিল। সেখানে যদি ক্যাসিনো থাকে, ওখান দিয়ে তো যেতেই পারে। তবে আমাকে ওরা বলেছে, জুয়া খেলার মতো কিছু করেনি। আর সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার ডি ভিলিয়ার্স, রাবাদারা ছিল। তাদের সঙ্গে আড্ডা মেরেছে ওরা। ’
তাদের ক্যাসিনোতে যাওয়ার ব্যাপারে কিছুই জানতেন না দলের ম্যানেজার। তিন ক্রিকেটার নাকি ম্যানেজারকে জানিয়েছেন তারা হোটেলে ফিরেছেন ১০টার মধ্যেও। কিন্তু রাত ৯টায় এই তিন ক্রিকেটারকে হোটেল থেকে বেরুতে দেখা গেছে। তারা ফিরেছেন রাত ১১টারও পর।
এ ব্যাপারে মিনহাজুল বলেন, ‘আমি এয়ারপোর্টে ওদের মৌখিকভাবে জিজ্ঞেস করেছি। ব্লুমফন্টেইনে গিয়ে যখন টিম মিটিং হবে, সেখানে এসব নিয়ে তিনজনকে বিস্তারিত জিজ্ঞেস করা হবে। ’
অবশ্য ম্যানেজারের অগোচরে টিম হোটেলের বাইরে থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের এই প্রথম নয়। ২০১৫ বিশ্বকাপ টিম ম্যানেজারকে না জানিয়ে গভীর রাতে হোটেল থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছিলেন পেসার আল-আমিন হোসেন। পরে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে দেশের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত বিপিএলে সাব্বির রহমানের বিরুদ্ধেও এরকম অভিযোগ উঠলে জরিমানা গুনতে হয় তাকে।
মাঠের ভেতরেও এই তিনজনের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। টেস্টে বিবর্ণ শফিউল টেস্ট সিরিজের পরই দেশে ফেরত গিয়েছিলেন। মোস্তাফিজুর রহমানের চোটে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। টেস্ট-ওয়ানডে, প্রস্তুতি ম্যাচ সব খেলাতেই ব্যর্থ তাসকিন আহমেদ। শেষ ওয়ানডেতে পান দুই উইকেট। তার আগে উইকেট তো পানইনি। বেদম মার খেয়েছেন সব ম্যাচেই। দলে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকা নাসির হোসেন ওয়ানডেতে ডাক পেয়ে ব্যাটে বলে হতাশ করেছেন কেবল।
ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন না শফিউল। বাকি দুজনের একজন নাসির হোসেন সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছিলেন । তাতে ব্যাট হাতে করেন ১১ ও ৩ রান। বোলিংয়ে ২৯ ও ৪৯ রান খরচায় কোন উইকেট পাননি। তার হাত ফসকে বেরিয়েছে ক্যাচও। ওদিকে সব ম্যাচেই একাদশে ছিলেন তাসকিন। প্রথম ওয়ানডেতে ৮ ওভার বল করেই ৬১ রান দেন তিনি, পাননি উইকেট। পরেরটিতে ৯ ওভার বল করে তার কাছ থেকে ৭১ রান তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। ওই ম্যাচেও থাকেন উইকেটশূন্য। শেষ ম্যাচে এসে দুই উইকেট জুটেছে তার। তবে এই জন্য ৭ ওভার থেকেই তার বল থেকে খসে যায় ৬১ রান।
Comments