যত বেশি চিন্তা তত বেশি ঝামেলা: সাকিব
দক্ষিণ আফ্রিকায় মাঠের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। এখনো কোন ম্যাচ জেতা তো দূরে থাক সামান্য লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ। হাওয়া গরম করছে মাঠের বাইরের বিতর্কও। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সব মনযোগ অবশ্য মাঠের ভেতরেই। ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টি বলেই খেলায় চিন্তার সময়ও কম। ওটাই নাকি আপাতত ইতিবাচক দিক।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ব্লুমফন্টেইনে শুরু হবে দুদলের দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথমটি। তার আগে প্রায় অর্ধযুগ পর অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেন, ‘যত বেশি চিন্তা তত বেশি ঝামেলা। যেহেতু এই ফরম্যাটটা অনেক ছোট, অত বেশি চিন্তা করার সময়ও নেই। এটা আমাদের জন্য ভালো দিক।’
টেস্টে খাটুনি বেশি, ওয়ানডেতেও কম নয়। দীর্ঘসময় মাঠে থাকতে হয়, ধরে রাখতে হয় মোমেন্টাম। টি-টোয়েন্টিতে সব হয়ে যায় হুটহাট। এটাই নাকি বরং সহজ হবে, ‘টেস্ট বা ওয়ানডেতে যেটা হয় যে অনেক সময় থাকে চিন্তা করার, যত বেশি চিন্তা করা হয় তত বেশি কঠিন হতে থাকে জিনিসটা। এখানে চিন্তার সময় নেই। তাই কঠিন হওয়ার সুযোগটাও কম।’
এই ম্যাচ দিয়েই তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। মিশন শুরুর সময় সাকিব পাচ্ছেন বিপর্যস্ত এক দল। পরিস্থিতি যত প্রতিকূলই হোক দলকে জাগানোর দায় তারই, ‘ভূমিকা তো একটা আছেই। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে যে, দলটাকে কিভাবে অনুপ্রাণিত করা যায়। আমার মনে হয়, এটা এখন সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আমার পক্ষে তো কারও স্কিল ঠিক করে দেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি কারও মনমানসিকতাও ঠিক করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু চেষ্টা করা যেতে পারে, কোনো কথায় যদি কাজ হয়।’
ব্লুমফন্টেইনের পিচ ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গ। টেস্টেই এখানে ভুরিভুরি রান হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে তো আরও সুবিধা থাকতে পারে। পিচ কিউরেটরের মতে ম্যাচ হবে হাইস্কোরিং। সাকিবেরও তাতে একমত। কাজটা ব্যাটসম্যানদেরই তবে অধিনায়কের মতে বোলিং আর ফিল্ডিংটা হওয়া চাই পাক্কা, ‘বড় স্কোরের ম্যাচ হওয়ারই সম্ভাবনাই বেশি। দুই দলের কারা বোলিংটা ভালো করে সেটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় এই ধরনের ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে। অন্যদিকে ফিল্ডিংটা আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
Comments