হেরেও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বাংলাদেশের
দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে এই প্রথম কোন ম্যাচে জেতার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০ রানে হেরে গেলেও এই ম্যাচ থেকে আত্মবিশ্বাস বাড়ার কথা জানিয়েছেন ওই ম্যাচে দলের সেরা পারফর্মার সৌম্য সরকার।
আগে ব্যাট করে স্বাগতিকদের করা ১৯৫ রানের পাহাড় ডিঙাতে গিয়ে শুরুটা চোখ জুড়ানো হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রায় ১০ করে রান এসেছে প্রথম ১০ ওভারে। তাতে বড় ভূমিকা ওপেনার সৌম্যর। ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে রান খরাও কাটিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে দলের হয়ে কথা বলতে এসে সৌম্য জানালেন, ' তারা(দক্ষিণ আফ্রিকা) দুইশর মতো রান করেছে। আমরা ১৭৫ রান করেছি। অবশ্যই আমাদের সামর্থ্য আছে পুরোটা যাওয়ার। মাঝখানে যদি একজন ব্যাটসম্যান রান পেত আমরা হয়তো সহজেই ম্যাচটা জিতে যেতাম। এখান থেকে আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস বেড়েছে যে, আমরা দুইশ রান করতে পারি।'
ওয়ানডে সিরিজ থেকেই বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছে ডট বল। প্রথম ওয়ানডেতে ১৫৭, পরেরটিতে ১৫১ এবং শেষ ম্যাচে ১৫৮ ডট বল খেলেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। বাদ যায়নি টি-টোয়েন্টিও। ২০ ওভারের ম্যাচেই বাংলাদেশের ডট বল ৪৫টি। অন্তত ১০টি ডট বল কম খেললেও ম্যাচ জিততে পারত বাংলাদেশ। একমত সৌম্যও, 'ডট বল তো টি-টোয়েন্টিতে বড় একটা ব্যাপার। কিন্তু তার আগে আমরা যখন ফিল্ডিং করেছি, রান আরও কম দিতে পারলে ভালো হত। কিছু বল ওয়াইড হয়েছে। ফিল্ডিংয়ে একটা-দুইটা মিস হয়েছে। ওই রানগুলো যদি আমরা না দিতাম তখন দেখা যেত আরও ২০টা রান কম হত। ওদের রান থাকত ১৭০ এর মতো।'
নিয়মিত স্ট্রাইক রোটেট করতে পারলে কমে যায় চাপ। বড় শট খেলাটা হয় আরও সহজ। প্রোটিয়ারা পুরো ইনিংসে মাত্র ২২টি ডট বল খেলেছে। বাংলাদেশের ২০ রানে হারা ম্যাচে স্পষ্ট ব্যবধান জানান দিচ্ছে এসব পরিসংখ্যানই। সৌম্য জানালেন পরের ম্যাচেই এই জড়তা থেকে বেরুতে চান তারা, 'ডট বল হয়েছে, এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো না। পরের ম্যাচে যদি ডট বল কমাতে পারি তাহলে রান আরও বেশি হবে।'
Comments