দ.আফ্রিকায় অন্তত একটা জয় কি পাবে বাংলাদেশ?
দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও হার। বাংলাদেশের হাতে বাকি আছে আর একটাই ম্যাচ। রোববার শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিততে পারলে দল পাবে সান্ত্বনা, মিলবে আত্মবিশ্বাস। না হলে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৭-০ ব্যবধানের হতাশা নিয়ে ফিরতে হবে দেশে। শেষ ম্যাচের আগে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য বেশ ইতিবাচক।
পচেফস্ট্রমে ম্যাচের আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দলের পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে সাকিবের জবাব, ‘আর কী আছে? জয় ছাড়া আর কিছু দেখি না। অন্তত এটাই তো আমাদের চাওয়া।’
প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই জেতার আশা জেগেছিল। ১৯৬ রান তাড়ায় গিয়ে ২০ রানে হার। প্রথম ১০ ওভার পর্যন্ত ভালোভাবেই খেলায় ছিল বাংলাদেশ। শেষে গিয়ে খেই হারিয়ে পথ হারিয়েছে, ‘সবই ভালো আছে। আরেকটু ভালো হলে জেতা সম্ভব ছিল। আমরা একটা বাড়তি বোলার নিয়ে খেলেছিলাম, পরিকল্পনা ছিল ওদের যদি ১৮০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পারি, আত্মবিশ্বাস ছিল তাড়া করতে পারব। উইকেটও সে রকমই ছিল। ফিল্ডিংয়েও কিছু ভুল হয়েছে। কিছু উন্নতির জায়গা আছে। সেগুলো করতে পারলে আরও একটা ভালো ম্যাচ হওয়া সম্ভব।’
বাংলাদেশের হারের বড় কারণ ডট বল। ওয়ানডে সিরিজ জুড়েই যা বেশ ভোগাচ্ছে দলকে। ব্যাটসম্যানরা স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারায় বেড়েছে চাপ। মানছেন সাকিবও, 'ওরা বেশি ভালো ব্যাটিং করেছে বলে ২২টা ডট দিয়েছে। সাধারণত ৩০-৪০টার ভেতর থাকে। পরের ম্যাচে যদি এর মধ্যে (৩০-৪০) রাখা যায়, তবে ভালো হয়। চেষ্টা থাকবে ডট বল কম দেওয়া, বিশেষ করে প্রথম ছয় ও মাঝামাঝি ওভারে। বাউন্ডারির সঙ্গে যদি রানের চাকাটা সচল রাখা যায়, তবে চাপটা অনেক কমে যায়।’
পচেফস্ট্রমে প্রথম টেস্ট খেলেছিল বাংলাদেশ। তাতে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা করেন রান উৎসব। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাও পেয়েছিলেন রান। টি-টোয়েন্টি মাঠের উইকেট হতে পারে আরও ব্যাটিং বান্ধব, ‘সবাই বলছে একটু মন্থর হয় (উইকেট)। মনে হচ্ছে হাই স্কোরিং ম্যাচই হবে। আগে ফিল্ডিং করলে ওদের কম রানে আটকাতে চেষ্টা করব। আর আগে ব্যাটিং করলে ১৮০ না করলে জয়ের সুযোগ কম।’
আগের ম্যাচ চার পেসার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। তাতে খুব একটা সুবিধা মেলেনি। একদম হতাশ করেছেন শফিউল ইসলাম। তার বদলে একাদশে দেখা যেতে পারে অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে। টি-টোয়েন্টিতে ঠিক জুতসই মুন্সিয়ানা দেখাতে পারছেন না ইমরুল কায়েস। তিনি না খেললে সুযোগ পেতে পারেন লিটন দাস।
Comments