দক্ষিণ আফ্রিকা ৭, বাংলাদেশ ০
ডেভিড মিলারের অতীমানবীয় ইনিংসের পরই ম্যাচ অর্ধেক শেষ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কখনো ১৬৫ রানের বেশি তাড়া করে জেতেনি। ২২৫ রান করে জেতা তো প্রায় অসম্ভব। হয়ওনি তা। তবে এই রান তাড়া করার চেষ্টা করতে গিয়ে ১৩ ওভারেই সাত উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। পরে ১৪১ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে ৮৩ রানে।
দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে, দুই টি-টোয়েন্টি। দক্ষিণ আফ্রিকায় সফরে মোট ৭ ম্যাচের সবগুলোতেই হারল বাংলাদেশ। জিততে পারেনি প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেও। দীর্ঘ ও কঠিন সফরে বির্বণ বাংলাদেশ ফিরছে খালি হাতেই।
২২৫ রানের টার্গেটে যেমন শুরু দরকার প্রথম ওভারে অন্তত তেমনটাই এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। বিশেষ করে আগের ম্যাচের ফর্ম ধরে রাখা সৌম্য সরকার এদিনও ছিলেন দুর্দান্ত। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। ইমরুলের রান আউট দিয়ে শুরু। এরপর একের পর এক উইকেট খুইয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে অন্যপ্রান্তে রান বাড়িয়ে গেছেন সৌম্য। তবে দ্রুত রান তুলার তাড়ায় ৩৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর কোমর ভেঙে যায়, আর দাঁড়াতে পারেনি দলের ইনিংস। ইমরুল ৫, সাকিব ২, মুশফিক ২ ও সাব্বির ৫ রান করে আউট হয়েছেন। যাও একটু আশা ছিল তা ভেস্তে যায় সৌম্যের আউটে। দলকে ৭২ রানে রেখে ৪৪ করে ফিরে যান টাইগার ওপেনার।
২৭ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে সৌম্য মেরেছেন ৬টি চার ও একটি ছক্কা। এই নিয়ে তিনবার টি-টোয়েন্টিতে ৪০ পেরিয়েও ফিফটির দেখা পেলেন না তিনি।
২০ বলে ২৪ রান করা মাহমুদউল্লাহ ফাঙ্গিসোকে ডাউন দ্য উইকেটে পেটাতে গিয়ে হয়েছেন স্টাম্পিং। সাত নম্বরে ব্যাট পেয়ে এক ছক্কায় ৯ রান করে ফেরেন লিটন দাস।
এর আগে ডেভিড মিলারের বিশ্বরেকর্ড গড়া খুনে সেঞ্চুরি আর হাশিম আমলার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে ২২৪ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০ ওভারের ম্যাচে এভারেস্টসম রান তাড়ার জবাব জানা ছিল না বাংলাদেশের।
মাত্র ৩৬ বলে ১০১ রান করেন মিলার। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের এক ওভারেই পাঁচ ছক্কা মেরে তুলে নেন ৩১ রান। শূন্য রানে জীবন পাওয়ার পর তার রুদ্রমূর্তি থামাতে পারেননি কেউ। আমলার ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৮৫ রানের চোখ জুড়ানো ইনিংস।
Comments