অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতে আটক

মা-বাবার কাছে ফিরল সুমন-মেহেদী

এক বছরের বেশি সময় ভারতে আটক থাকার পর আজ (৩০ অক্টোবর) সকালে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে গেলো মেহেদী হাসান ও সুমন ভূঁইয়া নামের বাংলাদেশের দুই কিশোর।
Bangladeshi youths return home
বাংলাদেশ ও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হিলি সীমান্ত দিয়ে সুমন ও মেহেদীকে হস্তান্তর করা হয়। ছবি: স্টার

এক বছরের বেশি সময় ভারতে আটক থাকার পর আজ (৩০ অক্টোবর) সকালে বাবা-মায়ের কাছে ফিরে গেলো মেহেদী হাসান ও সুমন ভূঁইয়া নামের বাংলাদেশের দুই কিশোর।

মেহেদী সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের কালিঘাট গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে এবং সুমন ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার গোড়াইল গ্রামের বাসিন্দা উমেদ ভুঁইয়ার একমাত্র সন্তান।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ভারত দেখার কৌতূহল নিয়ে হিলি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল ওই দুই কিশোর। ১৩ মাস আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাঘুরঘাটে ধরা পড়ে মেহেদী। সেখান থেকে তাকে আদালতের মধ্যস্থতায় নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাটের ‘সেফ হোম’ শুভায়নে।

একইভাবে ১৪ মাস আগে হিলি সীমান্তের কাছে ধরা পড়ে সুমন ভূঁইয়া। তাকেও একই পদ্ধতিতে রাখা হয়েছিল একই ‘সেফ হোমে’।

দক্ষিণ দিনাজপুরের চাইল্ড লাইন কো-অর্ডিনেটর সুরজ দাস দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হিলি সীমান্ত দিয়ে সুমন ও মেহেদীকে হস্তান্তর করা হয়।

ওদিকে শুভায়ন হোমের সুপার দাওয়া দরজি শেরপা জানান, এখনো আমাদের হোমে ২৯ জন বাংলাদেশি কিশোর ‘নিরাপত্তা হেফাজত’-এ রয়েছে।

এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সেফ হোমে এখনও কমপক্ষে এক হাজার শিশু-কিশোর আটক রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে।

এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কনসুলার (পলিটিক্যাল) বিএম জামাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, “দুই দেশের সংশ্লিষ্ট সরকারী এজেন্সির মাধ্যমে এভাবে আটকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এটি চলমান পদ্ধতি।” আগের চেয়ে এই পদ্ধতি আরও বেশি গতিশীল হওয়ায় এখন অনেক দ্রুতগতিতে আটক বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে পারছেন বলে তিনি দাবি করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago