‘নাশকতার পরিকল্পনা’-য় বিমান পাইলটসহ গ্রেফতার ৪

উড়োজাহাজ নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন পাইলটসহ নিষিদ্ধ জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
biman pilot arrested
৩১ অক্টোবর ২০১৭, উড়োজাহাজ নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন পাইলটসহ নিষিদ্ধ জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর চার সদস্যকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: পলাশ খান/ স্টার

উড়োজাহাজ নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন পাইলটসহ নিষিদ্ধ জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)-এর লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান আজ (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংস্থার মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা হলেন বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাব্বির এমাম (৩১), তাঁর মা সুলতানা পারভীন (৫৫), মোহাম্মদ আসিফুর রহমান আসিফ (২৫) এবং মোহাম্মদ আলম (৩০)। গ্রেফতানকৃতরা সকলেই জেএমবি সদস্য বলে দাবি করে র‌্যাব।

র‌্যাব সদস্যরা গত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চারজন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান মুফতি মাহমুদ খান।

তিনি বলেন, গত ২৬ অক্টোবর নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্য মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (২৩) এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে র‌্যাব জানতে পারে যে উড়োজাহাজ নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছেন একজন পাইলট।

গত সেপ্টেম্বরে রাজধানীর মিরপুরে মাজার রোডে একটি বাড়িতে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানের সময় নিহত জঙ্গি আব্দুল্লাহর একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন বিল্লাল। প্রায় ৮৮-ঘণ্টার সেই অভিযানে আব্দুল্লাহসহ সাতজন মারা যান।

র‌্যাবের দাবি, সাব্বির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

এদিকে, বিমানের জনসংযোগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত সেপ্টেম্বরে রাজধানীর মিরপুরে মাজার রোডে একটি বাড়িতে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানের পর ক্যাপ্টেন সাব্বির বিমান চালাতে অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, বিমানের ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালকের কাছে আবেদন করে সাব্বির জানান যে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানে তাঁর বাবাকে গ্রেফতার করার কারণে তিনি “মানসিকভাবে” সুস্থ নেই।

বিমান কর্তৃপক্ষ এ আবেদন গ্রহণ করার পর থেকে সাব্বির ছুটিতে রয়েছেন বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর মাজার রোডে জঙ্গি-বিরোধী অভিযানের সময় সাব্বিরের বাবা ও বাড়ির মালিক হাবিবুল্লাহ বাহার আজাদকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২০১৪ সাল থেকে ক্যাপ্টেন সাব্বির বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে কাজ করছেন। তিনি ফার্স্ট অফিসার হিসেবে বোয়িং ৭৩৭ চালাতেন। গত ২০১০ থেকে বিমানে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিজেন্ট এয়ারওয়েজ এ কাজ করেছেন বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago