কলকাতায় ছয়দিন ব্যাপী বাংলাদেশ নাট্যোৎসব শুরু
কলকাতায় শুরু হল নান্দীপট আয়োজিত ‘প্রাঙ্গণেমোর বাংলাদেশ নাট্যোৎসব ২০১৭’। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কাউন্সিল রিলেশন (আইসিসিআর)-এর সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এই নাট্যোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। ছয় দিন ব্যাপী এই নাট্য উৎসব চলবে আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত এবং প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টায় মঞ্চায়িত হবে প্রাঙ্গণেমোরের জনপ্রিয় ৭টি নাটক।
নাট্য উৎসবের উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্দেশক বিভাস চক্রবর্তী, অভিনেতা-নাট্যকার- নির্দেশক ও তৃণমূলের সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (কলকাতা) পরিচালক গৌতম দে ও কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মোফাকখারুল ইসলাম।
আগামী ৫ নভেম্বর সকাল ১১টায় বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারের বিষয়-‘কেমন ছিল, কেমন আছে, কেমন দেখতে চাই দুই বাংলার নাট্য-সংস্কৃতির আদান-প্রদান’। ওইদিন বিকাল ৩ টা ও সন্ধ্যা ৭ টায় মঞ্চায়িত হবে দুটি নাটক।
এই নাট্যোৎসব চলাকালীন সময়ে প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদল কলকাতার বিশিষ্ট ৭ জন নাট্যপ্রেমী ও নাট্য ব্যক্তিত্বকে সম্মাননা প্রদান করবে বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা হলেন অমলেশ দাশগুপ্ত, সেলিম উর রহমান, মনতোষ কুমার সাহা, সৌমিত্র মিত্র, সমর মিত্র, গৌতম হালদার ও অঞ্জন কাঞ্জিলাল।
প্রাঙ্গণেমোর নাট্য গোষ্ঠীর প্রশংসা করে নাট্যকর্মী বিভাস চক্রবর্তী বলেন ‘বাংলাদেশে যে কয়টি নতুন নাট্যদল আছে তার মধ্যে অন্যতম হল প্রাঙ্গণেমোর গোষ্ঠী। তারা এখানে এসে উৎসব করছে। তাদের কাজকর্ম, তাদের সংগঠন, সকলকে নিয়ে কাজ করার যে মানসিকতা বা নাট্যসমাজ গড়ে তোলা-এটার প্রশংসা করতেই হয়। এই বয়সে এসে এটা দেখে সত্যিই হিংসা হয়।
প্রাঙ্গণেমোর-এর পরিচালক অনন্ত হিরা জানান ‘আমরা বাংলা বলতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গকে বুঝি। ধারাবাহিক ভাবে নাটকের যে চর্চা বা ঐতিহ্য সেটি দুইটি জায়গায় বিদ্যমান। আমরা মনে করি যে দুই বাংলার নাট্য সংস্কৃতির আদান-প্রদান আমাদের উভয়বঙ্গের নাট্যসংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে পারে। সেই বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়েই প্রাঙ্গণেমোর নাট্য গোষ্ঠী প্রতিবছর বাংলাদেশে দুই বাংলার নাট্যমেলা বলে একটি নাট্যমেলার আয়োজন করে থাকি, সেখানে ভারতের পাঁচটি দল অংশগ্রহণ করে। আমরা চেষ্টা করি নাটকের মাধ্যমে এই বাংলার নাট্যবন্ধুদের আমাদের দর্শকদের সাথে মিলিয়ে দেওয়া। ঠিক সেভাবেই এপার বাংলার দর্শকদের সাথেও ওপারের নাট্যবন্ধুদের মিলিয়ে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা মাত্র।
নান্দীপটের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ডেপুটি হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মোফাকখারুল ইসলাম। তিনি জানান ‘এই নাট্যগোষ্ঠীটি বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য নাট্য গোষ্ঠী হিসাবে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। কলকাতায় তারা তাদের উন্নতমানের ছয়টি নাটক পরিবেশিত করবে। এই উদ্যোগের ফলে দুই বাংলার সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হবে।
Comments