টি-টোয়েন্টিতে ছোটবড় কোন দল নেই: নাসির
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সিলেট সিক্সার্সকেই ভাবা হয়েছিল শক্তির দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু মাঠের খেলায় তারাই আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন দুই দলকে হারিয়ে দিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দেওয়ার পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েছে ৪ উইকেটে। ম্যাচ শেষে জয়ী দলের অধিনায়ক নাসির হোসেন বললেন টি-টোয়েন্টিতে সব দলের পাল্লাই সমানে সমান।
‘অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই ভালো লাগছে, পর পর দুই ম্যাচ জিতেছি। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে ছোটবড় কোন টিম নাই। যেকোন দুইজন ভালো খেললেই জেতা যায়। আমাদের দলে হয়ত অনেক বড় নাম নেই, কিন্তু যারা আছে তারা অনেক কার্যকর।’
দুই ম্যাচেই টস জিতে আগে বোলিং করে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছে সিলেটের বোলাররা। টার্গেট রেখেছে নাগালের মধ্যে। নাসিরও একমত ব্যবধান গড়ে দিচ্ছেন তাদের বোলাররা, ‘বোলাররা অবশ্যই ব্যবধান তৈরি করছে। প্রথম ম্যাচ যদি দেখেন ঢাকার কিন্তু অনেক শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ ছিল। আমরা আমাদের একটা পরিকল্পনা আছে যত বাউন্ডারি কম দেওয়া যায়, দুই ম্যাচেই আমরা কাউকে তেমন মারতে দেইনি। সেইসাথে আমরা ভালো ফিল্ডিং করছি।’
রংপুরের ছেলে নাসির অধিনায়কত্ব করছেন সিলেটের হয়ে। তার জন্য গ্যালারীতে উঠছে করতালি। ওদিকে সিলেটের ছেলে হয়েও প্রতিপক্ষ দলে থাকায় অলক কাপালীর আউটেই খুশি স্থানীয় মানুষ। এসব দৃশ্য পেশাদারি ক্রিকেটের চোখে দেখেন নাসির, ‘আমারও ইচ্ছে করে রংপুরের হয়ে খেলতে। কিন্তু আমরা প্রফেশনাল প্লেয়ার। যে দলেই খেলি না কেন চেষ্টা করি পারফর্ম করতে। আমি এখন রংপুরের বিপক্ষে খেলে যদি আউট হই রংপুরের মানুষ খুশি হবে।’
সিলেট সিক্সার্সের দুই জয়েই বড় অবদান ওপেনারদের। দুই ম্যাচেই এসেছে ঝড়ো সূচনা। উপুল থারাঙ্গা আর আন্দ্রে ফ্লেচার আছেন ছন্দে। সিলেটের কাজটা হয়ে যাচ্ছে সহজ। প্রশ্ন উঠল ব্যাটিংয়ে সিলেটের দলটা কি ওপেনিং নির্ভর? নাসিরের উত্তর, ‘দুই ওপেনারের উপর নির্ভরশীল না। আজ কিন্তু শেষে সোহান জিতিয়েছে। ওপেনাররা ভালো করছে সেকারণে হয়ত আমাদের জেতাটা সহজ হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দলে অনেক ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে। ’
দুই ম্যাচেই কিপ্টে বোলিং করেছেন নাসির হোসেন। প্রথম ম্যাচে ২২ রানে দুই উইকেট নিয়েছিলেন। এই ম্যাচেও চার ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট, জানালেন, ‘বোলিং করতে সবসময় উপভোগ করি। ’
দিনের প্রথম ম্যাচে যারা আগে বোলিং করে তারাই পাচ্ছে বাড়তি সুবিধা। স্বীকার করলেন নাসিরও, ‘টস জেতা একটু হলেই ভাইটাল কারণ সকাল বেলা (প্রথম ম্যাচ) উইকেট একটু স্লো থাকে। ’
উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান নেমেছিলেন আট নম্বরে। তবে কাজের কাজটি তিনিই করেছেন। শেষ ওয়ারে ১০ রানের সমীকরণ ছক্কা-চারে পূরণ করেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সোহানকে পরে নামানোর ব্যাখ্যা দিলেন নাসির, ‘ব্যাটিং অর্ডার আসলে আমার হাতে নেই। সোহান আরো আগেই নামতে পারত। কিন্তু যখন যেটা ভালো মনে হয়েছে সেটাই করা হয়েছে। সোহান তো অবশ্যই ভালো ব্যাটসম্যান। ওর এমন খেলার সামর্থ্য আছে।’
Comments