বল হাতে এমন সাফল্যের রহস্য জানালেন রাজু
আবুল হাসান রাজুর নামডাক টেস্টে বিশ্বরেকর্ড দিয়ে। পেসার হিসেবে অভিষিক্ত হয়ে ১০ নম্বরে নেমে করে ফেলেছিলেন সেঞ্চুরি। ইনজুরি আর ধারাবাহিকতার অভাবে জাতীয় দলে নিয়মিত হতে পারেননি। তবে চুটিয়ে খেলছেন বিপিএল। এবার নিয়ে এসেছেন আরও বৈচিত্র্য। তিন ম্যাচ শেষে তিনি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী।
মঙ্গলবার সিলেট সিক্সার্সকে টানা তিন জয় পাইয়ে দিতে ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। প্রথম ম্যাচে ২৪ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। মাঝে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষেই কেবল মার খেয়েছেন। এমন ধারাবাহিক সাফল্যের পেছনে কারণ কি?
‘আসলে গত কয়েকদিন অনেক পরিশ্রম করছি, চম্পকার (চম্পকা রমনায়েকে) সঙ্গে কাজ করছি, এতে আমি আরও উন্নতি করছি।’
পেস বোলিং কোচ চম্পকা রমনায়েকে অনেকদিন বাংলাদেশে কাজ করে ফিরে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি আবার ফিরে এসেছেন। তার হাতেই জাতীয় দলের বাইরে থাকা টাইগার পেসারদের গড়ে উঠার টোটকা। আবুল হাসান রাজু জানালেন পেস বোলিং ক্যাম্পে সে টোটকাই পেয়েছেন তিনি।
চম্পকার সঙ্গে সিলেট সিক্সার্সের পেসার কাজ করছেন বৈচিত্র্য নিয়ে, ‘ওর সঙ্গে লাইন লেন্থ ও ভেরিয়েশন নিয়ে কাজ করেছি। ভেরিয়েশনটা তো টি-টোয়েন্টিতে লাগেই। আর ওয়ানডেতেও এফেক্টিভ।’
রাজু বোলিংয়ের মূল শক্তি স্লোয়ার বল। প্রতি ওভারে তিন চারটা স্লোয়ার মারতে পারেন তিনি। এই ম্যাচে ‘ব্যাক হ্যান্ড স্লোয়ার’ মেরেও ধন্দে ফেলেছেন ব্যাটসম্যানদের। কি করে শিখলেন?
‘সবই আসলে অনুশীলনের বিষয়। আমি তো বললাম গত কয়েকদিন চম্পকার সঙ্গে এসব নিয়েই কাজ করেছি।
২০১৫ সালের পর আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে উঠেনি। বিপিএলে ভালো করাও সে লক্ষ্য নিয়েই, ‘সবারই তো ওটাই টার্গেট থাকে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুটোতেই টার্গেট আছে।’
আবুল হাসান রাজুর বাড়ি সিলেটের কুলাউড়ায়। সিলেট সিক্সার্সের দলে তিনি ও ইমতিয়াজ হোসেন তান্না কেবল সিলেটের। নিজ বিভাগের হয়ে খেলতে পারাও ভীষণ উপভোগ করছেন, ‘সিলেটী হিসেবে অবশ্যই গর্ব অনুভব করছি। আমি আর তান্না ভাই আছি। নিজের গ্রাউন্ড খেলছি। আমার মনে হয় আমাদের পারফরম্যান্সে দর্শকরা খুশি। আমরা তিনটা খেলায়ই জিতেছি।’
Comments