হাসিনা-মোদির ভিডিও কনফারেন্সে মৈত্রীর নতুন কার্যক্রমের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে আগামী ১০ নভেম্বর সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রান্তিক পর্যায়ে শুল্ক ও অভিবাসন (কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন) কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
Maitree Express
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে আগামী ১০ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রান্তিক পর্যায়ে শুল্ক ও অভিবাসন (কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন) কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ছবি: স্টার

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে আগামী ৯ নভেম্বর সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রান্তিক পর্যায়ে শুল্ক ও অভিবাসন (কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন) কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

একই দিনে কলকাতা-খুলনার মধ্যে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ এবং ভৈরব-তিতাস নদীর ওপর নবনির্মিত রেল সেতুরও উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল (৭ নভেম্বর) ভারতের পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ দফতরের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র ইমেইল করে এই তথ্য জানান।

এতো দিন মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ভারতের গেদে এবং বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্তে শুল্ক ও অভিবাসনের কাজ করতে হতো। এতে দুই দিকের প্রায় চার ঘণ্টা সময় বেশি লেগে যেতো। তবে আগামী ১০ নভেম্বর থেকে চার ঘণ্টা সময় কমে যাবে।

জানা গেছে, প্রথম দিন অর্থাৎ ১০ নভেম্বর ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস যাত্রা শুরু করবে। একইভাবে ঢাকা থেকে যাত্রীরা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন ঢাকার সময় পৌনে এগারোটায়।

নতুন নিয়মে যাত্রীদের দুই ঘণ্টা আগে স্টেশনে আসতে হবে। কলকাতা এবং ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনেই শুল্ক ও অভিবাসনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। গেদে ও দর্শনাতে ট্রেনটি শুধু ইঞ্জিন ও ক্রু বদলের জন্য কিছু সময় দাঁড়াবে (সর্বোচ্চ ২৫ মিনিট) বলেও পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে পহেলা বৈশাখ কলকাতা-ঢাকার মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম দিকে সপ্তাহে দুই দিন করে চললেও পরবর্তীতে সপ্তাহে ছয় দিনই চলে মৈত্রী এক্সপ্রেস।

কলকাতা এবং ঢাকার মধ্যে ৩৭৫ কিলোমিটার পথের কলকাতা থেকে গেদে পর্যন্ত ১‌১৪ কিলোমিটার এবং দর্শনা থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পর্যন্ত ২৬১ কিলোমিটার। প্রথম দিকে মাত্র দুটি এসি-কামরা ছিল। তবে চলতি বছর থেকে পুরো মৈত্রী এক্সপ্রেস শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। যাত্রীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে।

যাত্রীরা মনে করছেন, শুল্ক ও অভিবাসনের জটিলতা প্রান্তিক স্টেশনে সম্পন্ন হলে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারবেন এবং আগামীতে যাত্রী সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে।

আরো পড়ুন:

মৈত্রী এক্সপ্রেস: ১০ নভেম্বর থেকে শুল্ক-অভিবাসনের আনুষ্ঠানিকতা ঢাকা-কলকাতা স্টেশনে

Comments

The Daily Star  | English
electoral irregularities

EC allows 29 more local observers to monitor polls

The Election Commission today allowed 29 more local observers to monitor the upcoming national election

23m ago