কলকাতার কনফারেন্সে অকপট স্বীকার ভুটানের

নিরাপত্তা ও অবকাঠামোর প্রস্তুতির কারণেই বিবিআইএন বাস্তবায়নে দেরি

বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের মধ্যে বিবিআইএন চুক্তি বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করল ভুটান। নিরাপত্তা এবং অবকাঠামো প্রস্তুতির কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন হতে দেরি হচ্ছে বলে স্বীকারও করে নিয়েছে দেশটি। শুধু তাই নয়, সমস্যা দুটি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও ভুটানের পক্ষ থেকে জানানো হয় গতকাল (৮ নভেম্বর)।
BBIN
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে মটর ভেকলস অ্যাগ্রিম্যান্ট বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৫ জুন। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের মধ্যে বিবিআইএন চুক্তি বাস্তবায়নে দেরি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করল ভুটান। নিরাপত্তা এবং অবকাঠামো প্রস্তুতির কারণে চুক্তি বাস্তবায়ন হতে দেরি হচ্ছে বলে স্বীকারও করে নিয়েছে দেশটি। শুধু তাই নয়, সমস্যা দুটি দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও ভুটানের পক্ষ থেকে জানানো হয় গতকাল (৮ নভেম্বর)।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের মধ্যে মটর ভেকলস অ্যাগ্রিম্যান্ট বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৫ জুন। চার দেশের একটি প্রতিনিধি দল প্রায় চার হাজার ২২৩ কিলোমিটার পথ ভ্রমণ করে প্রকল্পের সুবিধা ও বাস্তবতা খতিয়েও দেখে চার দেশই সে বছর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে ‘ট্রানজিট’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ এতে আগ্রহ দেখালেও পরবর্তীতে ভুটান ‘অভ্যন্তরীণ’ কারণ দেখিয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করে।

ফলে ঝুলে রয়েছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই চার দেশের ট্রানজিট চুক্তিটি। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে এই চার দেশের মধ্যেই অবাধ যানবাহন চলাচল করতে পারবে।

এমন একটি বাস্তবতায় গতকাল কলকাতায় একদিনের ‘বিবিআইএন ইয়ং থিংকারস কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশন ও অবজাভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই কনফারেন্সের আয়োজন করে। সেখানে ভুটানের ভাইস কনসাল জেনারেল পেমা তোবগে বলেন, “মোটরযান ট্রানজিট চুক্তি বাস্তবায়নে ভুটানের আরো কিছু সময় প্রয়োজন। নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ভুটান এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত হবে।”

নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় একশজন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।

সম্মেলনের প্রধান বক্তা ভারতের নিযুক্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার আলেকজান্ডার ইভালে জানান, “যোগাযোগ যত নিবিড় হবে ততই প্রযুক্তি, বিপর্যয় মোকাবিলা, প্রাকৃতিক সম্পদ বিনিময়সহ নানা ক্ষেত্রে আদান-প্রদান সম্ভব হবে। তাই আমরা চাই প্রতিবেশী চার দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ আরো সুদৃঢ় হোক।”

অনুষ্ঠানের আরো উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান। তিনি বলেন, “যোগাযোগ বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ানো, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা বিবিআইএনের প্রধান লক্ষ্য।” তিনি এ সময় উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় দেওয়ার কথাও জানান।

অবজাভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রধান কর্মকর্তা অশোক ধর এবং উপদেষ্টা রাখোহরি চট্টোপাধ্যায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Culprits of Khagrachhari, Rangamati violence will be brought to book: CA office

High-powered probe body to be formed; home adviser to visit Khagrachharai and Rangamati tomorrow

2h ago