পাপনে মুগ্ধ ফোক ফেস্ট

লোকসংগীত উৎসব বা ফোক ফেস্টের প্রথম দিন ছিলো গতকাল (৯ নভেম্বর)। সন্ধ্যা শুরু হতে না হতেই আসতে শুরু করেছিলেন শ্রোতারা। আর্মি স্টেডিয়াম পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে।
Papan
ফোক ফেস্টে সংগীতশিল্পী পাপন। ছবি: সংগৃহীত

লোকসংগীত উৎসব বা ফোক ফেস্টের প্রথম দিন ছিলো গতকাল (৯ নভেম্বর)। সন্ধ্যা শুরু হতে না হতেই আসতে শুরু করেছিলেন শ্রোতারা। আর্মি স্টেডিয়াম পরিণত হয়েছিল জনসমুদ্রে।

প্রথম গান নিয়ে উৎসবের সূচনা করে বাউলিয়ানা। এরপর, একে একে মঞ্চে আসেন ব্রাজিল, চীনের তিব্বত ও বাংলাদেশের শিল্পীরা। সুরের জাদুতে মেতে ছিলেন হাজারো দর্শক-শ্রোতা।

রাত ১১টার একটু পরে মঞ্চে আসেন ভারতের আসাম রাজ্যের জনপ্রিয় গায়ক পাপন। সারাদিনের ক্লান্তি আর সুরের তালে তাল মেলাতে মেলাতে কিছুটা বুঝি ঝিমিয়ে পড়েছিলেন সবাই। কিন্তু মাইকে পাপনের নাম ঘোষণা হতেই নতুন করে জেগে উঠলো পুরো আর্মি স্টেডিয়াম।

পাপন এলেন, হাসলেন সেই চোখ বন্ধ করা মনোমুগ্ধকর স্টাইলে। গাইলেন– দিনে দিনে খসিয়া পড়িবে রঙিলা দালানের মাটি। মারফতি ধাঁচের অসমীয়া এই লোকগানের জন্যই যেন দিনভর অপেক্ষায় ছিলেন সবাই।

গানের ফাঁকে ফাঁকে পাপন জানালেন, সুরের কোনো দেশ নেই, মানচিত্র নেই। সুর থাকে মানুষের অন্তরে। জীবন সুন্দর। তাকে নিয়ে এতো হতাশার কিছু নেই। চিন্তার কিছু নেই। জীবনকে উপভোগ করুন। সুর আর গান হোক সেই উপভোগের সঙ্গী।

তিনি আরো বলেন, ফেসবুক থাকুক তার মতো। সেটি হতে পারে জীবনের একটি বিনোদন। “কিন্তু, ফেসবুক, টুইটারকে জীবন বানিও না। ওসব ফেলে চারপাশটা তাকিয়ে দেখো। সবকিছু কত সুন্দর। রাত আসে, তাতে হতাশ হয়ো না। অন্ধকার কেটে গিয়ে আলোর সকাল আসবে। গান গেয়ে বাঁচো,” এই বলে প্রেরণা দিলেন শ্রোতাপ্রিয় শিল্পী।

পাপন তাঁর জনপ্রিয় গানের পাশাপাশি অসমীয়া, পাঞ্জাবি, হিন্দিসহ বেশ কিছু ভাষার গান পরিবেশন করে মুগ্ধ করে রাখেন মাঝ রাতের দর্শকদের। তাঁর গানের রেশ নিয়েই ঘরে ফিরছেন মানুষ, নতুন করে আবারও দেখা হওয়ার প্রত্যাশায়। এই উৎসব চলবে শনিবার পর্যন্ত।

Comments