খুলনার টানা দ্বিতীয় জয়
ব্যাটিংয়ে মাহমুদউল্লাহর দৃঢ়তা, আরিফুল-ব্র্যাথওয়েটদের তান্ডব। বল হাতে রাহি-শফিউলদের মাপা বোলিং, দারুণ সব ক্যাচ। খুলনা টাইটান্সের কাছে সব দিকেই পরাস্ত হলো চিটাগাং ভাইকিংস। সিলেট সিক্সার্সকে হারানোর পর এবার ১৮ রানে জিতল মাহমুদুল্লাহর দল।
১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই একের পর এক উইকেট খুইয়ে বিপাকে পড়ে ভাইকিংস। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা উইকেট পড়া বন্ধ করলেও দেখাতে পারেননি রান তাড়ার তাগদ। পাঁচে নেমে শ্লথ ব্যাট করে বরং ডুবিয়েছেন অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৫২ রানের বেশি করতে পারেনি চিটাগাং।
আগের দুই ম্যাচে চিটাগাং ভাইকিংসকে দারুণ শুরু এনে দেওয়া লুক রঙ্কি এবার ব্যর্থ। আবু জায়েদ রাহির বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়ে টাইমিংয়ে গোলমাল। বল গেছে সোজা মিড অনে দাঁড়ানো মাহমুদউল্লাহর হাতে। ১৭১ রানের টার্গেট দেখে প্রথম বল থেকেই পেটানোর মতিগতি নিয়ে নেমেছিলেন সৌম্য সরকার। তবে জায়গামতো মারতে হবে তো। সৌম্য এবার ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক পেয়ে। রাহির বল তুলে দিয়েছেন ডিপ মিড উইকেট ফিল্ডারের হাতে।
মুনাবিরাকেও আউট করেছেন রাহি। তবে বড় কৃতিত্ব অবশ্যই প্রোটিয়া রাইলি রুশোর। আগের বলেই লং অন দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন মুনাবিরা। পরের বল উড়তে চেয়েছিলেন ডিপ স্কোয়ার লেগ দিয়ে। বাউন্ডারি হতেই পারত। অনেকখানি ছুটে গিয়ে হাফ চান্স ক্যাচ বানান রুশো।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান শেষ। এনামুল হক বিজয়ের সামনে সুযোগ ছিল নিজেকে মেলে ধরার। মওকা পেয়েও মেলতে পারেননি ডানা। ২ চার আর এক ছক্কায় ১৮ রানেই থেমেছে বিজয়ের চাকা। সিকান্দার রাজা তবু ভাইকিংসদের জাগাচ্ছিলেন আশা। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে শফিউল ইসলাম স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তার। ৩ চার আর ২ ছক্কায় ২৬৭ বলে করেন ৩৭ । অন্যপ্রান্তে আগের দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতায় শ্লথ গতিতে এগিয়েছেন ভাইকিংস কাপ্তান মিসবাহ উল হক। যখন দরকার ছিল দ্রুত রান, মারতে পারেননি বড় শট। ৩৭ বলে ৩০ রান করে তার ইনিংস থেমেছে নাজমুল হোসেন শান্তর অসাধারণ এক ক্যাচ। মিসবাহর উইকেটও নিয়েছেন রাহি।
এর আগে শুরুতে উইকেট খুয়ানো। পরে মাহমুদউল্লাহ আর আরিফুলের জুটি। শেষে আরিফুল-ব্র্যাথওয়েটের তান্ডব। টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনা টাইটান্স দারুণ চ্যালেঞ্জ দিতে পেরেছিল চিটাগাং ভাইকিংসকে।
২৯ রানে তিন উইকেট হারানো খুলনাকে প্রথমে টেনে তুলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রাইলি রুশোর সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় ঠেক দেওয়ার পর আরিফুলের সঙ্গে আরও ৩৫ রানের জুটি। এনামুল হক বিজয়ের দারুণ ক্যাচে মাহমুদউল্লাহ ৩৩ বলে ৪০ রান করে ফেরেন। তবে তাতে থামেনি রানের চাকা, উলটো শেষ ২৭ বলে ৬৭ রান তুলে নেন আরিফুল ইসলাম ও কার্লোস ব্র্যাথওয়েটরা। ১৪ বলে ৩০ করে আউট হন বিস্ফোরক ব্র্যাথওয়েট। ইনিংসের একদম শেষ বলে ২৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস থামান আরিফুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইটান্স:১৭০/৭ (ওয়ালটন ৫, শান্ত ৯, কিলিঞ্জার ২, রুশো ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৪০, আরিফুল ৪০, ব্র্যাথওয়েট ৩০, আর্চার ১১; তাসকিন ৩/৪৩, সানজামুল ২/২০, মুনাবিরা ১/১৬, শুভাশিস ১/২০)
চিটাগাং ভাইকিংস:( রঙ্কি ২, সৌম্য ০, বিজয় ১৮,মুনাবিরা ১০,মিসবাহ ৩০, সিকান্দার ৩৭,রেইস ২২, তানভির,সানজামুল ; রাহি ৪/৩৫, শফিউল ১/২৪ ব্র্যাথওয়েট ১/২৯)
টস: চিটাগাং ভাইকিংস
ফল:খুলনা টাইটান্স ১৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আবু জায়েদ রাহি
Comments