ডেঙ্গু নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হলেন নিজেই

ডেঙ্গু প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও সাংসদ সুজন চক্রবর্তী। এবার তিনিই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেন। গতকাল (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কলকাতার অদূরে মকুন্দপুর এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই বাম নেতা।
Sujan Chakraborty
কংগ্রেস নেতা ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদল নেতা আব্দুল মান্নান হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত বামফ্রন্ট সাংসদ সুজন চক্রবর্তীকে দেখতে আসেন। ছবি: স্টার

ডেঙ্গু প্রতিরোধে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও সাংসদ সুজন চক্রবর্তী। এবার তিনিই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেন। গতকাল (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কলকাতার অদূরে মকুন্দপুর এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই বাম নেতা।

রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থা নিয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশ, চলতি বছরে শতাধিক মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে দেওয়া হলফনামায় মমতার প্রশাসনের দাবি, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৪০ জন। এদিকে, ২২ জনের মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি রাজ্য সরকার। এছাড়াও, রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার।

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার ডেঙ্গু নিয়ে প্রকৃত তথ্য আড়াল করছে। মমতা ব্যানার্জির প্রশাসনের অবহেলাকে ঢাকতেই চিকিৎসকরা রোগীদের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াকে কারণ হিসেবে লিখছেন না।

এদিকে, সুজন চক্রবর্তী দুদিন আগেও মমতা ব্যানার্জিকে খোঁচা দিয়ে ডেঙ্গুকে ‘পিসির দয়া’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “পক্স হলে আমরা বলি মায়ের দয়া হয়েছে। আর ডেঙ্গু হলে বলতে হবে ‘পিসির দয়া’।” সজুন ‘পিসি’ বলতে মমতা ব্যানার্জিকেই বুঝিয়েছিলেন।

এছাড়াও, রাজ্য বিজেপির নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় মমতা ব্যানার্জিকে ‘ডেঙ্গুশ্রী’ উপাধি দেওয়ার কথা বলে তিস্কার করেছিলেন। রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গু জ্বর মোকাবেলায় প্রশাসনের এই উদাসীনতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি যিনি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও তাঁকে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে রাজনৈতিক চাপনউতোর দিনদিন বেড়েই চলছে। তবে পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হচ্ছে না বলে মনে করছেন আক্রান্ত কিংবা তাদের স্বজনদের অনেকেই।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago