সিলেটের বিপক্ষেই ভালো খেলার স্বপ্ন ছিল জাকিরের
সিলেট বিভাগের ছেলে জাকির হাসান। বয়সভিত্তিক দল থেকে উঠে এসে এখন তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেন। এর আগেও বিপিএলে খেলেছেন, তবে কখনো সিলেটের হয়ে নামা হয়নি। এবার তাকে দলে নিয়েছে রাজশাহী কিংস। তাদের হয়ে সিলেট বিপক্ষেই ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেললেন। তাতে বেজায় খুশি এই তরুণ।
এবারের আসরে এই প্রথম মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। কাজে লাগিয়েছেন ষোলআনা। চারে ব্যাটিং পেয়ে দলকে জিতিয়ে তিনি যখন মাঠ ছাড়েন। নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ২৬ বলে ৫১। তা সিলেটের বিপক্ষেই অমন ব্যাটিং করে কেমন লাগছে?
‘এটা আসলেই মজার বিষয় যে সিলেটের বিপক্ষে ভালো খেলেছি। এটা আসলে আমারও স্বপ্ন ছিল বা ইচ্ছা ছিল যে সিলেটের বিপক্ষে ভাল খেলব। ভালো খেলে খুব খুশি লাগতেছে। ’
যুবদল থেকেই উইকেটকিপিং আর কার্যকর ব্যাটিং নিয়ে নজর কেড়েছেন। বিপিএলের গেল আসরে আলো কাড়তে পারেননি। ভুল শোধরে নাকি এবার তিনি শানিত, ‘আসলে গতবছর আমি ভালো খেলি নাই। পরে আমি স্যারদের (কোচ) আলাপ করেছি। তারা বলেছেন আমার শক্তির জায়গায় মন দিতে, আমি সেটাই করেছি। ’
টার্গেট ছিলো ১৪৭। ওপেনিং জুটিতে শক্ত ভিত পাওয়া রাজশাহী তখনো এগুচ্ছিল তরতর করে। ব্যাটিংয়ে চনমনে ছিলেন জাকির। তবে ১৬ রান করার পরই থামতে পারত তার দৌড়। নাবিল সামাদের বলে দিয়েছিলেন সহজ ক্যাচ। সেই ক্যাচ ফিল্ডার ধরলেও আউট হননি তিনি। জাতীয় লিগে জাকিরের সতীর্থ নাবিল যে করে ফেলেছেন বিশাল ওভারস্টেপিং। জীবন পেয়ে পর পর দুই ছয় মেরে জাকির জানিয়ে দেন দিনটি তারই, ‘তখন মনে হয়েছে আজ মনে হয় আমার দিন, যেহেতু লাক ফেভার করেছে। পরে ঠিক করেছি ক্যারি করার।’
Comments