টেনশনে রাতে ঘুমাতে পারেননি মেহেদী

এত মিডিয়া এক্সপোজার পাওয়া কোন ম্যাচে হিরো হয়ে এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এলেন তরুণ মেহেদী হাসান। কুমিল্লার মিডিয়া ম্যানেজার মজা করেই জানিয়ে দিলেন, ‘ওকে কোন কঠিন প্রশ্ন করা যাবে না।’ আলোয় এসে অবশ্য একদম ভড়কে যাননি ২২ বছর বয়সী অফ স্পিনার। বরং খানিকক্ষণ আগেই গেইল-ম্যাককালামকে ভড়কে দিয়ে আসার রোমাঞ্চ তার চোখেমুখে।
সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হিসেব করলেও শীর্ষ দুই ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ও ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম। ওদের ঠেকাতে মেহেদীর হাতেই পড়ল বল করার ভার। তাতে বাজিমাত তার।
শনিবার কুমিল্লাকে জেতানোর ম্যাচে মেহদী ৪ ওভার বল করে ১৫ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। আউট করছেন ম্যাককালামকে। আম্পায়ার ভুল না করলে গেইলের উইকেটটিও যেত তার পকেটে। এমন তুমুল নৈপুণ্য দেখানোর আগে নাকি টেনশনে ঘুমই হচ্ছিল না তার, ‘আমি শেষ দুদিন থেকেই শুনছিলাম যে আমি এই ম্যাচ খেলব। গেইল-ম্যাককালাম সামনে কিন্তু শেষের দিন রাতে ঘুম আসছিল না।’
গেইল-ম্যাককালামকে কাবু করতে মন দিয়ে দেখেছেন তাদের ভিডিও। ভিডিও দেখেও পাচ্ছিলেন না কুল, ‘ ইউটিউবে ওদের ভিডিও দেখছিলাম। তখন দেখি ওদের উইক পয়েন্টই নাই খালি ছয়-চারই মারে। তখন কোচকে (মোহাম্মদ সালাউদ্দিন) বললাম স্যার ওদের তো উইক পয়েন্টই নাই, খালি ছয় চার মারে। তখন কোচ বলেন তাহলে তোর খেলা লাগবে না। তখন বললাম না স্যার আমি পারব। ’
আসলেই পেরেছেন তিনি। তার করা প্রথম দুই ওভার থেকে মাত্র দুই রান নিতে পেরেছিলেন গেইল-ম্যাককালাম। দুজনেই এই তরুণের অফ স্পিনে খাবি খেয়েছেন। গেইল তো আউট হতে হতেও বেঁচেছেন।
ঘরোয়া লিগে একসময় ওপেনার ছিলেন মেহেদী। ব্যাট হাতে খেলতে পারেন বড় বড় ইনিংস। কোচ সালাউদ্দিন তাকে বানিয়ে দেন অফ স্পিনারও। সেই কোচই এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে রেখেছেন তাকে। সব কিছুর পেছনে তারই অবদান, ‘আমাকে বোলার হিসেব তৈরি করার পেছনে উনার অবদান অনেক বেশি।’
আগে ব্যাট করা কুমিল্লাকে ১৫৩ রানে আটকে ফেলেছিল রংপুর রাইডার্স। মামুলি ওই রানও মেহেদীর অফ স্পিন আর রশিদ খানের লেগ স্পিনে ঠেকিয়ে দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
Comments