চট্টগ্রামবাসীর সমর্থনের আশায় ‘কুমিল্লার তামিম’

চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে যে এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আইকন। কুমিল্লার অধিনায়কের আশা দল যাইহোক সমর্থন ঠিকই পাবেন তিনি।
তামিম ইকবাল
ছবিঃ ফিরোজ আহমেদ

চট্টগ্রামে তামিম ইকবাল খেলতে আসলেই তার নামে উঠে স্লোগান। এবার বিপিএলে কি তেমনটি হবে? চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে যে এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আইকন। কুমিল্লার অধিনায়কের আশা দল যাইহোক সমর্থন ঠিকই পাবেন তিনি।

আগেরবার চিটাগাং ভাইকিংসের হয়েই খেলেছিলেন। এবার পাল্টেছেন দল। তবে পাড়া প্রতিবেশির সমাদর তো পাল্টাতে পারে না। সবচেয়ে বড় কথা হোম টিমের প্রতিপক্ষ হতে হচ্ছে না তাকে, আমি ভাগ্যবান, কারণ চিটাগংয়ের বিপক্ষে আমার খেলতে হচ্ছে না। তবে আমি যেহেতু এখানকার ঘরের ছেলে, সুতরাং আমি যে দলেই খেলি না কেনো, আশা করি চিটাগংয়ের মানুষের কাছ সমর্থন পাবো। আর বাংলাদেশের দর্শকদের ভালো ব্যাপার হলো, এরা ভালো ক্রিকেটটাকেই সমর্থন করে। এটা দারুণ জিনিস।

তবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হলে লড়াই হবে জম্পেশ। তামিমের ধারণা তাতে লাভ হবে বিপিএলেরই, যদি বিপিএলে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের ব্যাপারটা আসে তাহলে এই বিপিএলের মানটা আরো একটু অন্য রকম হয়ে যাবে। যেমন চিটাগংয়ের মানুষ শুধু চিটাগংকেই সাপোর্ট করবে। ঢাকার মানুষ শুধু ঢাকার সাপোর্ট করলো। এখন তো আসলে মিক্স অ্যান্ড ম্যাস ঢাকার মানুষ হয়তো কুমিল্লাকে সাপোর্ট করছে, চিটাগংয়ের মানুষ আবার ঢাকাকে সাপোর্ট করছে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে চলে এলে, যেমন আইপিএলে দেখি, আমার কাছে মনে হয় এ রকম হলে বিপিএলকেই লাভবান করবে’’

সিলেট ও ঢাকায় দুই পর্ব শেষে তামিমের কুমিল্লা আছে টেবিলে সবার উপরে। শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার লড়াই জমে উঠতে পারে চট্টগ্রামে, আমার কাছে মনে হয়, শেষ চারে কারা যাবে এটা নির্ভর করবে বেশ কয়েকটা খেলার ফলাফলের উপর। এখন পর্যন্ত বিপিএল প্রায় অর্ধেক শেষ হয়ে গেছে। এখন পয়েন্ট টেবিলের যে অবস্থা, তা চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে

যারা টপে আছে, তাদের জন্য স্বস্তিকর অবস্থা থাকবে, কারণ তারা প্রথম অর্ধেকে ভালো খেলেছে। আর আমাদের দলের কথা বললে বলবো যে, আমরা খুব ভালো খেলেছি। আমরা মোমেন্টামটা ধরে রাখতে চাই। এভাবেই এগোতে চাই।

বিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের মুন্সিয়ানা খুব বেশি নজর কাড়ছে না। দুএকজন আলো কাড়লেও বেশিরভাগ ম্যাচ থাকছে বিদেশিদের দখলে। পাঁচ বিদেশি খেলানোই এর কারণ মনে করেন তামিম, একজন বাংলাদেশি হিসেবে বলবো, আমরা যতোটা ভালো খেলেছি, তার চেয়ে ভালো করা উচিত ছিলো। এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে বারবার পাঁচজন বিদেশির কথা এসেছে যায়। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, পাঁচজন বিদেশির কারণে যে সব স্থানীয় ক্রিকেটার উপরের ব্যাটিং করতে পারতো, তাদেরকে শেষমেষ নিচে ব্যাটিং করতে হচ্ছে। এটাকে আমি অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাই না, কারণ আমার মনে হয় যারা যেমন খেলেছে, তাদের আরো ভালো খেলা উচিত ছিলো।

বিদশিদের ভিড়েও অবশ্য আলো কেড়েছেন খুলনা টাইটান্সের হয়ে খেলা আরিফুল হক। নজর কেড়েছেন রাজশাহীর হয়ে নামা জাকির হাসান। তামিমেরও মত সুযোগ পেলেই চেনাতে হবে নিজের জাত, বিদেশি চারটা বা পাঁচটা; যাই হোক, আপনি পারফর্ম করলে আপনার ভালো লাগবে। এদের পারফর্ম করাও একটা ভালো ব্যাপার। কারণ বিদেশি যারা আছে, সবাই মানসম্পন্ন। আপনারা যদি আরিফুলের ইনিংস দেখেন, ওই ইনিংসটা দারুণ ছিলো। এ রকম ইনিংস যদি প্রতি ম্যাচে বা প্রতি দুই ম্যাচে হয়; আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো।

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago