অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া
জেতার কাজটা আগের দিনই সেরে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ দিনে সারল আনুষ্ঠানিকতা। অ্যাশেজের প্রথম টেস্ট স্টিভেন স্মিথের দল জিতল ১০ উইকেটে। ১৯৮৮ সাল থেকে ব্রিজবেনে টিকে থাকল অসিদের শতভাগ সাফল্যের রের্কড।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়েই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড। মাত্র ১৯৫ রানে গুটিয়ে টার্গেট দিয়েছিল ১৭০ রান। চতুর্থ দিন বিকেলেই বিনা উইকেটে ১১৫ রান তুলে ফেলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন বেনক্রফট। দুই অসি ওপেনার শেষ দিনেও আউট হননি। সকালের সেশনেই নিয়েছেন প্রয়োজনীয় ৫৫ রান।
ব্রিসবেনের গ্যাবায় টস জেতা ইংলিশরা আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৩০২ রান করেছিল। জেমস ভিন্স, ডেভিড মালানের ব্যাট ছাড়া হাসেনি আর কারো ব্যাট। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ানরাও। উইকেট পতনের মিছিলের মধ্যে দাঁড়িয়ে অসাধারণ ইনিংস খেলেন অসি কাপ্তান স্টিভেন স্মিথ। মিচেল মার্শ আর প্যাট কামিন্সের কাছ থেকে পাওয়া ছোট ছোট দুই সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। সবাই আউট হলেও ১৪১ রানে অপরাজিত থেকে যান স্মিথ। লিডও পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।
প্রথম ইনিংসে ২৬ রানের লিড নিয়ে তেতে উঠেন অসি বোলাররা। পেসার জস হ্যাজলউড ধসিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। মিচেল স্টার্ক আর ন্যাথান লায়ন মিলে মুড়ে ফেলেন বাকিটা। ইংল্যান্ড অলআউট হয় মাত্র ১৯৫ রানে। মামুলি টার্গেট তাড়ায় সমস্যা ছাড়াই উৎরে যায় স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩০২
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৩২৮
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৭১.৪ ওভারে ১৯৫ (কুক ৭, স্টোনম্যান ২৭, ভিন্স ২, রুট ৫১, মালান ৪, মইন ৪০, বেয়ারস্টো ৪২, ওকস ১৭, ব্রড ২, বল ১, অ্যান্ডারসন ০*; স্টার্ক ৩/৫১, হেইজেলউড ৩/৪৬, কামিন্স ১/২৩, লায়ন ৩/৬৭, স্মিথ ০/৮)।
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ১৭৩/০(ব্যানক্রফট ৮২*, ওয়ার্নার ৮৭*; অ্যান্ডারসন ০/২৭, ব্রড ০/২০, মইন ০/২৩, ওকস ০/৪৬, বল ০/৩৮, রুট ০/১৭)।
ফল: অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: স্টিভেন স্মিথ।
Comments