শহরের ৫৫ শতাংশ নারী সহিংসতার শিকার
বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে বসবাসকারী ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ নারী সহিংসতার শিকার বলে একশন এইড বাংলাদেশের গবেষণায় উঠে এসেছে।
গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনের সময় বেসরকারি সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ৫৭ শতাংশ নারীর অভিযোগ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখে না। তারা শারীরিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। সেই সাথে অপরিচিত ব্যক্তিদের অনাকাঙ্ক্ষিত স্পর্শের মত বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে শহরে বসবাসকারী নারীদের।
‘হুজ সিটি’ (কার শহর) শিরোনামে পরিচালিত এই গবেষণায় দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরের ১,২০০ নারীর সাথে কথা বলেছে একশন এইড। এর মধ্যে ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ নারী বলেছেন তারা বিভিন্নভাবে সহিংসতার শিকার। আর ৫৭ শতাংশের অভিযোগ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অভিযোগে গুরুত্ব দেয় না।
ফারাহ কবির জানান, ৬৫ শতাংশ নারী মনে করেন সহিংসতার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো নারীদেরকেই দায়ী করার মানসিকতা ধারণ করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ৪৯ শতাংশ নারী গণপরিবহনে নিজেদের অনিরাপদ মনে করেন। স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য সরকারি সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রেও ৪৮ শতাংশ নারী নিজেদের নিরাপত্তাহীন ভাবেন।
নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে ১০টি দেশের তথ্য প্রকাশ করেছে একশন এইড। এর মধ্যে ৩৯ দশমিক ৩২ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রেডে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত কঙ্গোর সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশের অবস্থান। নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়নে নেপাল, নাইজেরিয়া, জর্ডান, ব্রাজিল ও জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
গবেষণায় পাঁচটি সূচক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এগুলো হল, নারীর প্রতি সহিংসতা, সহিংসতা মোকাবেলায় আইনগত সুযোগ, নারীবান্ধব বাজেট, নারীবান্ধব নগর ও গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা। এগুলোর মধ্যে ‘নারীবান্ধব নগর’ ও ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা’ সূচকে বাংলাদেশের স্কোর শূন্য।
Comments