নিয়মরক্ষার ম্যাচে ব্যাটে-বলে চিটাগাংকে জেতালেন রাজা

চিটাগাং ভাইকিংসকে বড় স্কোর এনে দেন সিকান্দার রাজা ও লুইস রিস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টুর্নামেন্ট থেকে দুদলই আগে বিদায় নিয়েছে। তাদের জেতা-হারায় কারো কিছু যায় আসে না। নিয়মরক্ষার ম্যাচে আগ্রহ ছিল না দর্শকদেরও। এমন ম্যাচে সব হারিয়ে মাঠেই নির্ভার দুই দল। আগে ব্যাটিং পেয়ে লুইস রিস, সিকান্দার রাজার ঝড়ে ১৯৪ রান করে চিটাগাং ভাইকিংস, সেই রান তাড়ায় তাণ্ডব চালিয়েছিলেন সামিথ প্যাটেল। তাতে লাভ হয়নি। ২০ ওভার খেলে রাজশাহী করতে পেরেছে ১৪৯ রান। ব্যাটিংয়ের মতো বল হাতেও চার উইকেট নিয়ে হিরো রাজা।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৪৫  রানে জিতেছে চিটাগাং ভাইকিংস। নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে তৃতীয় জয় পেলেও পয়েন্ট টেবিলে কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। তলানিতেই থেকেই এবারের আসর শেষ করছে  ভাইকিংস। এবারের আসরে চার জয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে থেকে শেষ করল গেল আসরের রানার্সআপ রাজশাহী কিংস।

উইকেট পেয়ে রাজার উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ
রান তাড়ায় রাজশাহী ভালো শুরু পায়নি। দুই ওপেনার মুমিনুল হক ও রনি তালুকদার কেউই রান পাননি। ওয়ানডাউনে নেমে ২৬ বলে ছয় চার আর পাঁচ ছক্কায় ৬২ রানের ইনিংস খেলে নিরুত্তাপ ম্যাচে নজর নিজের দিকে নিয়ে যান সামিথ। তিনি আউট হওয়ার পরই ফিরে যান মুশফিক। এবার বিপিএলে খুব একটা হাসেনি মুশফিকের ব্যাট, একটাই ফিফটি করেছেন। শেষ ম্যাচে আউট হয়েছেন ১৫ রান করে। মুশফিককে আউট করার পরের বলেই উসামা মিরকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ব্যাটিংয়ের হিরো সিকান্দার রাজা। হ্যাটট্রিক না পেলেও পরে নিয়েছেন আরও দুই উইকেট। সেটিতেও এসেছিল হ্যাটট্রিকের সুযোগ। চার ওভার বল করে  ১৬ রান দিয়ে রাজা নিয়েছেন চার উইকেট।

টস হেরে ব্যাটিং পেয়ে নির্ভার ভাইকিংসের নতুন ওপেনিং জুটি পায় দারুণ শুরু। অষ্টম ওভারে ৬৯ রান তুলে পড়ে প্রথম উইকেট। আবারও  শুরুতে ঝড় তুলে আউট হন অধিনায়ক লুক রঙ্কি। তার সঙ্গে নামা লুইস রেইস আর আউটই হননি। খেলেছেন ৫৬ বলে ৮০ রানের অনবদ্য ইনিংস। ওপেনিংয়ে ভালো না করায় ওয়ানডাউনে নেমেছিলেন সৌম্য সরকার। তার ব্যাটে রান খরা কাটেনি নতুন পজিশনেও। ১৭ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।

চিটাগাং ভাইকিংসের এই দুই উইকেটই পড়েছে। দুটিই পেয়েছেন মিরাজ। সৌম্য আউট হওয়ার পর দলকে আর কোন বিপর্যয়ে পড়তে দেননি সিকান্দার রাজা। চালিয়েছেন তান্ডব। ২০ বলে তিনটি করে ছক্কা-চার মেরে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন জিম্বাবুয়াইন ব্যাটসম্যান। তাতে ভাইকিংসরা পায় ১৯৪ রানের পাহাড়। বিশাল সংগ্রহ আগলে রাখতে পরে বল হাতে রাজাই নিয়েছেন মূল ভূমিকা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চিটাগাং ভাইকিংস:১৯৪/২ (রঙ্কি ৪২, রিস ৮০*, সৌম্য ১৭, সিকান্দার ৪২*   ; মোস্তাফিজ ০/৪১, সামি ০/৪৯, উসামা ০/৩২, অনিক ০/২৭, সামিথ ০/৮, মিরাজ ২/১৮, ফ্র্যাঙ্কলিন ০/১২)

রাজশাহী কিংস:১৪৯/৯ (মুমিনুল ৯, রনি ৬, সামিথ ৬২, মুশফিক ১৫, জাকির ১৯ , মির ০, ফ্র্যাঙ্কলিন , মিরাজ ০ , সামি ১, অনিক, মোস্তাফিজ   ; সানজামুল ২/১৪, তাসকিন ১/২৯, এমরিট ১/২৮, তানবীর ০/১৫, আল-আমিন জুনিয়র ০/২২, রিস ১/২১, সিকান্দার  ৪/১৬)

টস: রাজশাহী কিংস।

ফল: চিটাগাং ভাইকিংস ৪৫ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: লুইস রিস

 

Comments