ফুঁসে উঠছে ফিলিস্তিন

Palestinians protest
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার মুখে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি গাজার রাস্তায় বিক্ষোভে নামে। ছবি: রয়টার্স

ঐতিহাসিক শহর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা আসছে এমন খবরে ফুঁসে উঠছে ফিলিস্তিন।

তেল আবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার একটি ঘোষণা ট্রাম্পের পক্ষ থেকে আজ আসতে পারে এমন সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনের নেতারা তিনদিনের বিক্ষোভ ঘোষণা করেছেন।

ইতোমধ্যে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি গাজার রাস্তায় ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে নেমেছে। কাতার-ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের ঘোষণার অপেক্ষায় না থেকে স্বেচ্ছায় রাস্তায় নেমে আসে এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে থাকে।

এক বার্তায় গাজার শাসক দল হামাস জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিদের জন্যে ‘রেড লাইন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, এই শহরটির জন্যে তাদের প্রতিরোধ আন্দোলন চলমান থাকবে। দলটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন করে ইন্তিফাদা বা গণ-আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে।

এদিকে, ব্রিটেনে অবস্থিত ফিলিস্তিনের প্রধান প্রতিনিধি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’-র সঙ্গে তুলনা করেছেন।

বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ম্যানুয়েল হাসাসিয়ান বলেন, “ট্রাম্প যদি এটুকুও উচ্চারণ করেন যে তার ইচ্ছা জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হোক তাহলেও এর অর্থ দাঁড়াবে যে ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের মৃত্যু হয়েছে।”

এই ফিলিস্তিনি কূটনীতিকের মতে, ট্রাম্প শুধু মধ্যপ্রাচেই যুদ্ধ ঘোষণা করছেন না তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করছেন দেড়শো কোটি মুসলমান ও কোটি কোটি খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধেও।

ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের মুখে ফিলিস্তিনের সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। এই সমর্থন শুধু মুখেই নয় রাজপথেও সব দলের সদস্য-সমর্থকরা এক সঙ্গে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

এছাড়াও, ফিলিস্তিন জুড়ে বিশেষ করে, পূর্ব জেরুজালেমে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জার্মানি ও ফ্রান্স তাদের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

UK govt unveils 'tighter' immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

2h ago