কুমিল্লার জয়ের নায়ক লিটন

লিটন-স্যামুয়েলসের ব্যাটেই কুমিল্লা পায় বড় সংগ্রহ। তাড়া করে কুল পায়নি সিলেট। ছবিঃ ফিরোজ আহমেদ

টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে সিলেট। আর হারলেও এক নম্বরে থেকেই প্লে অফ খেলবে কুমিল্লা। অমন সমীকরণের ম্যাচে কোন উত্তেজনা থাকার কথা নয়, ছিলোও না।  তাতে প্লে অফের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটা ভালোই সেরেছে কুমিল্লা। আর টানা তিন জয় দিয়ে শুরু করা সিলেট সিক্সার্সের শেষটা হয়েছে মলিন।

লিটন-স্যামুয়েলসের দুই ফিফটি আর শোয়েব মালিকের ঝড়ে পাওয়া ১৭০ বড় সংগ্রহ কোন রকম চ্যালেঞ্জ ছাড়াই ঠেকিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চার ওভার বল করে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বড় অবদান লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমারের। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্লে অফের আগে শেষ ম্যাচে ভিক্টোরিয়ান্সরা জিতেছে ২৫  রানে। শেষ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান করে থেমেছে সিক্সার্সের চাকা ।

১৭১ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় সিলেট। মেহেদী হাসানের বলে ইনসাইড এজ হয়ে প্যাডে লাগলেও আম্পায়ার এলবিডব্লিও দিয়ে দেন থাকে।  ওয়ানডাউনে নেমে শেষটা রাঙাতে পারেননি নাসির। হাসান আলিকে চার-ছক্কা মারলেও বোল্ড হয়েছেন ক্রেমারের গুগলিতে ধোঁকা খেয়ে। পাকিস্তানি বাবর আজমকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল সিক্সার্সের। শেষ ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তার খেলার মঞ্চ ছিল প্রস্তুত,  তাতে তাল মেলাতে পারেননি এই ডানহাতি। ১৯ বলে ২০ রান করে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ক্রেমারের বলে।

ওদিকে চড়া হতে থাকা আস্কিং রানরেট নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে কোন চেষ্টাও খেয়াল করা যায়নি সিক্সার্স ব্যাটসম্যানদের কাছে। ইংলিশ রস হোয়াইটলিকে ছেঁটে  দ্বিতীয় উইকেট পান মেহেদী। সিলেটের আইকন সাব্বির রহমান খানিকক্ষণ বিনোদন দিয়ে আউট হন ৩১ রান করে। প্রায় পুরোটা সময় ম্যাচের বাইরে থাকা সিলেটের শরীরীভাষাতেও ছিল না কোন তাড়না।

নিয়মরক্ষার ম্যাচ বলে বিশ্রামে ছিলেন অধিনায়ক তামিম। জস বাটলারের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন লিটন দাস। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ছন্দ খুঁজে ফিরছিলেন। খারাপ ফর্মে বাদও পড়েছিলেন দুবার। লিটন অবশেষে পেয়েছেন তাল। উইকেটে থিতু হয়ে খেলেছেন দারুণ সব শট। ৩৭ বলে পৌঁছান টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটিতে, আউট হওয়ার আগে করেছেন ৪৩ বলে ৬৫। ছয় চারের সঙ্গে মেরেছেন তিন ছক্কা। ঠিক ৪৩ বল খেলেছেন মারলন স্যামুয়েলসও। তাতে ৫৫ রান করতে পেরেছেন তিনি। এই দুজনের ব্যাটেই কুমিল্লায় পায় শক্ত ভিত। শেষ দিকে নেমে এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা শোয়েব মালিক তুলেছেন ঝড়। সোহেল তানভীরের করা শেষ ওভারে দুই ছক্কায় আসে ২২ রান। দলকে ১৭০ রানে নিয়ে মালিক অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ২৮ রান করে। পরে ওই রানই যথেষ্ট হয়ে যায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স:১৭০/৪ (লিটন ৬৫, বাটলার ৩, ইমরুল ৭, স্যামুয়েলস ৫৫, মালিক ২৮*, আলি ১*  ; নাবিল ১/৩৩, সোহেল ০/৩৬, নাসির ১/২০, শরীফ ০/২৫, রাব্বি ১/২৯, হোয়াইটলি ১/২৬)



সিলেট সিক্সার্স :১৪৫/৭ (রিজওয়ান ৬, ফ্লেচার ২৫, নাসির ১২, বাবর ২০, সাব্বির ৩১, হোয়াইটলি ৬, সোহেল ৯, শরিফ ১৪*, শরিফুল্লাহ ৯* ; আল-আমিন ০/২৭, মেহেদী ২/৩১, আলি ২/৩৫ , ক্রেমার ২/১৫, সাইফুদ্দিন ০/২৬)

টস: সিলেট সিক্সার্স

ফল: কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স  ২৫ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: লিটন দাস 

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

8h ago