জেরুজালেমই ইসরায়েলের রাজধানী, বললেন ট্রাম্প
ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর হুঁশিয়ারি কোন কিছুই আমলে নিলেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প। এমনকি নিজের দেশের বহু দশকের পররাষ্ট্রনীতির বিপরীতে গিয়ে গতকাল জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি।
জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে জাতিসংঘসহ সারা বিশ্ব থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে। একমাত্র ইসরায়েল বাদে যুক্তরাষ্ট্রের অন্য ঘনিষ্ঠ মিত্ররাও এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন।
হোয়াইট হাউজে ঘোষণায় ট্রাম্প বলেছেন তার প্রশাসন তেলআবিব থেকে দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে। ফিলিস্তিনে সংঘাত এড়াতে ট্রাম্পের আগের কোনো প্রশাসন দূতাবাস স্থানান্তরের মতো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে সংকল্পবদ্ধ ছিলাম। কাজটা ঠিকই হয়েছে।’ জেরুজালেমকে আগেই ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ছিল বলেও এসময় ট্রাম্প তার পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টদের সমালোচনা করেন।
পৃথক ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল রাষ্ট্রকে পারস্পরিক স্বীকৃতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে সমাধানের কথা বলা হয়, সেখানে জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ কোন পক্ষের কাছে থাকবে তাকে কেন্দ্র করেই বিরোধ রয়ে গেছে। মুসলিম, ইহুদি, ও খ্রিষ্টান তিন ধর্মের কাছেই জেরুজালেম পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।
ফিলিস্তিনিরা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বানাতে চায়। অন্যদিকে ১৯৪৮ সাল থেকেই পশ্চিম জেরুজালেম নিয়ন্ত্রণে রেখেছে ইসরায়েল। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর পুরো জেরুজালেমের ওপর নিজেদের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে ইসরায়েল। তবে এর কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই।
Comments