‘মুশফিক ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিক’
ছয় বছর অধিনায়ক থাকার পর পদ হারালেন মুশফিকুর রহিম। ২০১১ সালে তাকে তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে রঙিন পোশাকের দায়িত্ব হারান। এবার টেস্ট থেকেও অব্যাহতি পেলেন মুশফিক। সাদা পোশাকে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে এখন কেবল ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিতে বলেছেন বোর্ড প্রধান।
রোববার মুশফিককে অব্যাহতি দেওয়ার পর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান, ‘একেবারেই স্পেসেফিক গ্রাউন্ড আছে তা না। আর থাকলেও সেটা সব সময় বলা যাবে না। মূলত আমরা মনে করেছি এখানে একটা পরিবর্তন হওয়া দরকার। মুশফিকুর রহিমের সেরা ব্যাটিং আমরা চাইছি। আমরা মনে করছি সে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দিক। তাকে চাপমুক্ত করতে চাচ্ছি।’
আগামী চার-পাঁচ বছরের কথা চিন্তা করেই এগোচ্ছে বোর্ড। তারই একটা পদক্ষেপ মুশফিকের জায়গায় সাকিবের টেস্ট অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়া, ‘সবমিলিয়ে আমরা যে প্লান করেছি। শুধু এখনকার দেখলে তো হবে না। সামনে আগামী চার পাঁচ বছরে , সেই প্লান অনুযায়ী সেট করার জন্য তারই একটা পদক্ষেপ। অন্যান্য জায়গাও চেঞ্জ আসবে।’
টেস্টে মুশফিকের ডেপুটি ছিলেন তামিম ইকবাল। তার জায়গায় মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে আসার কারণ অবশ্য খোলাসা করেননি বোর্ড প্রধান, জানিয়েছেন তামিম টি-টোয়েন্টিতে সহ-অধিনায়ক হিসেবে থাকবেন, ‘তামিম টি-টোয়েন্টিতে আছে। সে টি-টোয়েন্টিতে থাকবে।’
প্রথমে টি-টোয়েন্টি এবার টেস্ট। ধাপে ধাপে সাকিব কি তবে আবার তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক হবেন। সে সম্ভবনা উড়িয়ে না দিলেও মাশরাফি থাকায় ওয়ানডেতে কোন বদলের দরকার দেখছেন না বিসিবি প্রধান, ‘হতে পারে। কিন্তু এই মুহুর্তে বলা মুশকিল। এখানে দু ধরনের মতবাদ আছে। একটা আলোচনা ছিল আমরা তিন ফরম্যাটে তিনটা ক্যাপ্টেন করব। যেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। আবার আরেকটা পালটা ছিল যে একই ক্যাপ্টেন তিন ফরম্যাটে থাকা ভাল। কাজেই দুটোরই যোগ-বিয়োগ আমরা দেখছি। এই মুহুর্তে কোন সুযোগই নাই কারণ মাশরাফি অলরেডি আমাদের ওডিআই ক্যাপ্টেন। কাজেই ওখানে হাত দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।এখন এটার কোন দরকারই আমরা দেখছি না। আপাতত দুজন ক্যাপ্টেনই থাকছে। ’
পরিসংখ্যানে মুশফিকের নেতৃত্বে ৩৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে সর্বোচ্চ ৭টিতে। হেরেছে ১৮টিতে আর ড্র করেছেন ৯টি টেস্ট।
Comments