‘ফাইনাল খেলতে পারি সেটা চিন্তাও করতে পারিনি’

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা
দলকে ফাইনালে তোলে উল্লসিত অধিনায়ক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

রংপুর রাইডার্স টুর্নামেন্টের শুরুতে চলছিল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। প্রথম ম্যাচ জেতার পর টানা তিন হার। এক সময় শেষ চারে উঠা নিয়েও ছিল শঙ্কা। হারতে হারতে শেষ ওভারের উত্তেজনায় জিতেছে গোটা তিনেক ম্যাচ। শেষ চারে সবচেয়ে কম পয়েন্ট নিয়ে উঠা দলটি উঠে গেল ফাইনালে। অধিনায়ক মাশরাফি নিজেও নাকি অতটা চিন্তা করেননি। 

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে দুটি নকআউট ম্যাচ খেলতে হয়েছে মাশরাফিদের। এলিমিনেটর ম্যাচে খুলনাকে উড়িয়ে দেওয়ার পর কোয়ালিফায়ার ম্যাচে অনায়াসে হারাল কুমিল্লাকে। যাদের কাছে আগের দুই দেখাতেই হেরেছিল তারা। এমন জেগে উঠাকে মাশরাফি দেখছেন দলের দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের মেলবন্ধন হিসেবে, ‘আসলে টুর্নামেন্টের মাঝে যদি তাকাই তাহলে বলব ফাইনাল খেলতে পারি সেটা চিন্তাও করতে পারিনি। কৃতিত্ব পুরোটাই ছেলেদের দেয়া উচিত।বিশেষ করে যারা আমাদের ওভারসিস খেলোয়াড় আছে তাদেরকেও। তারা চেষ্টা করেছে। শুধু নিজের  জন্য না। সাধারণ খুব কম দেখেছি যে এই ফরম্যাটের যারা বড় খেলোয়াড় তারা স্টেপ আপ করে আমাদের যারা লোকাল ছিল তাদেরকে বুঝিয়েছে কেমন খেলতে হবে। আমি মনে করি পুরো দলগত প্রচেষ্টায় আমরা এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।’

 ক্রিস গেইল
ড্রেসিং রুমে ফিরে গেইলকে জড়িয়ে ধরলেন মাশরাফি। ছবি: ফিরোজ আহমেদ
অনেক হাইপ তুলে নিয়ে আসা ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম পুরো টুর্নামেন্টেই ছিলেন নিরব। কাজের সময়েই তিনি পেলেন তাল। খুব বেশি সুযোগ না পাওয়া চার্লসও প্রত্যাশার কাছাকাছি ছিলেন না। তিনি আসল সময়ে হয়ে গেলেন বিধ্বংসী। তুরুপের তাসগুলো ঠিকঠাক কাজে লাগায় বেজায় খুশি রংপুর অধিনায়ক, ‘যেভাবে ওরা আজ খেলেছে এটা হচ্ছে ওদের ন্যাচারাল গেম। হয়তোবা একটা মিস হলে আউট হয়ে যেতে পারত। এ জন্যই তারা এ ধরণের টুর্নামেন্টে সবার আগে ডাকগুলো পায়। নিজেদের দিনে ওরা যেকোনো দলকে ম্যাসিব আকারে ধ্বংস করতে পারে। প্রথম সেমিফাইনালে গেইল একাই করে দিয়েছে। আজকে চার্লস একটা ইনিংস একটা দলের জন্য যথেষ্ট হতে পারে। ম্যাককালাম এসে যেভাবে খেলেছে তাতে আমাদের বড় স্কোর গড়তে সুবিধা হয়েছে। মাঠে যে পরিমাণে শিশির ছিল তাতে এ স্কোর না হলে সমস্যা হত।’

দল ভালো করুক কিংবা খারাপ দলে খুব বেশি অদল বদল করেননি। আর এটাই নাকি ভারসাম্য ঠিক রেখে এগিয়ে নিয়ে গেছে রংপুরকে, আসলে আমরা এ পর্যন্ত আসার পিছনে একটাই কারণ হতে পারে। আমরা কখনো টিম পরিবর্তন করিনি। যদি দল দেখেন,,ট্যাকটিকালি একটা-দুটা লোকাল খেলোয়াড় করেছি যেগুলো করতে হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

6h ago