নতুন এফটিপিতে বাংলাদেশের প্রচুর টেস্ট খেলার সুযোগ
আইসিসির প্রস্তাবিত নতুন ভবিষ্যৎ সফর সূচি (ফিউচার ট্যুর প্ল্যান-এফটিপি) দিচ্ছে বাংলাদেশের অন্য সুখবর। অনুমোদন পেলে নতুন এফটিপিতে সাদা পোশাকে প্রচুর পরিমাণ খেলা বাড়ছে বাংলাদেশের। ২০১৯ থেকে ২০২৩, এই পাঁচ বছরে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের পরই সবচেয়ে বেশি ৩৫টি টেস্ট ম্যাচ আছে বাংলাদেশের।
এই সময়ে ৪৫ টি ওয়ানডে ও ৪২টি টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। গত ৭ ও ৮ ডিসেম্বর আইসিসির কর্মশালায় এই এফটিপি দাঁড় করানো হয়। বিসিবির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাহী ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান উপস্থিত ছিলেন কর্মশালায়।
প্রস্তাবিত এই এফটিপিকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পেরিয়ে আসতে হবে দুই ধাপ। প্রথম ধাপে ফেব্রুয়ারিতে আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায় যাবে। ওই সভায় অনুমোদনের পর জুনে আইসিসির বোর্ড সভায় তুলে ধরা হবে। সেই সভা থেকেই আসবে চূড়ান্ত অনুমোদন। তবে প্রস্তাবিত সূচিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
নতুন সূচিতে সবচেয়ে বেশি ৪৬টি টেস্ট খেলবে ইংল্যান্ড, ৪০টি টেস্ট আছে অস্ট্রেলিয়ার, ভারত খেলবে ৩৭টি টেস্ট। এরপরই বাংলাদেশের নাম। সাকিব আল হাসানরা পাঁচ বছরে টেস্ট খেলবেন ৩৫টি।
এই চার দলের পরই আছে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। প্রোটিয়ারা টেস্ট পাবে ৩২টি। বাকি সবাই ৩০ এর নিচে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৯, শ্রীলঙ্কা ২৯, পাকিস্তান ২৮, নিউ জিল্যান্ড ২৮, জিম্বাবুয়ে ১৭, আয়ারল্যান্ড ১৭ ও আফগানিস্তান ১৬টি।
টেস্ট স্ট্যাটাসের ১৭ বছরে একবার মাত্র ভারত সফরে টেস্ট খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তাও খেলেছে কেবল একটাই টেস্ট। নতুন এফটিপিতে আছে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। ২০১৯-২০ মৌসুমে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ভারত যাবে টাইগাররা। ২০২২-২৩ মৌসুমে ফিরতে সফরে বাংলাদেশে আসবে ভারত।
টেস্ট র্যঙ্কিংয়ের শীর্ষ নয় দলকে নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ১৩ দলের ওয়ানডে লিগকে কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে নতুন এফটিপি। তাতে ৪৫টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। যা পঞ্চম সর্বোচ্চ। সবচেয়ে বেশি ৬২টি ওয়ানডে পাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৬১টি খেলবে ভারত। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ৪২টি টি-টোয়েন্টি পেয়েছে বাংলাদেশ। এখানে সবার আগে ভারতের নাম। ওয়ানডের মতো ঠিক ৬১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত।
Comments