৩০ সদস্যের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার অপেক্ষায় মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা। ছবিটি গত ২ নভেম্বর পালংখালী থেকে তোলা। ছবি: রয়টার্স/এএফপি

নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০ সদস্যের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) গঠন করা হয়েছে।

আজ সকালে ঢাকায় দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর জেডব্লিউজি গঠন হয়। এতে দুই দেশের ১৫ জন করে সদস্য রয়েছেন। তাদের তত্ত্বাবধানেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করা হবে।

দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে চার ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকটি সকাল ৮টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় শুরু হয়। বাংলাদেশের নয় জন ও মিয়ানমারের ছয় জন কর্মকর্তা এই বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের দিক থেকে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপে নেতৃত্ব দিবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব মায়েন্ট থু জেডব্লিউজি-তে তার দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিবেন।

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন পিছিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে রোহিঙ্গা ফেরানোর কাজ শুরু হতে পারে।

এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখের মত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এদের মধ্যে গত ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ক্লিয়ারেন্স অভিযান শুরুর পর এসেছে প্রায় ছয় লাখ ৬০ হাজার জন। 

Comments