রংপুরে লাঙ্গলের জয়
জাতীয় পার্টির (জাপা-এরশাদ) লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মোস্তাফিজার রহমান রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে জয় লাভ করেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহমেদ।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে সিটি করপোরেশনের মোট ১৯৩ কেন্দ্রের সব কটির ফলাফলে জাপা প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী পেয়েছেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট এবং বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান পেয়েছেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট।
আজ (২১ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শুরু হয়ে তা বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণের পরিবেশ নিয়ে মেয়র প্রার্থীদের সবাই সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন।
এদিকে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য মোট সাড়ে পাঁচ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় ২২-২৫ জন দায়িত্ব পালন করে। মেয়র পদের জন্য এবার সাত জন প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের জন্য ২১১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন। তারা একজন মেয়র, ৩৩ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১১ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত করেন।
দেশের সর্ব উত্তরের এই সিটি করপোরেশনটিতে এবারই প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর রংপুরের প্রথম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক সরফুদ্দিন আহমেদ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমানকে পরাজিত করে মেয়র হয়েছিলেন।
ওই নির্বাচনে সরফুদ্দিন এক লাখ ছয় হাজার ২৫৫ ভোট পেয়েছিলেন। মোস্তাফিজার ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত একেএম আব্দুর রৌফ মানিক পেয়েছিলেন যথাক্রমে ৭৭ হাজার ৮৩৫ ও ৩৭ হাজার ২০৮ ভোট। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কাওসার জাহান আটকে ছিলেন মাত্র ২১ হাজারের কিছু বেশি ভোটে।
এবার জাতীয় পার্টির তরফ থেকে মোস্তাফিজারকে মনোনীত করায় দলটির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের ভাইপো হোসেইন মকবুল শাহরিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করেন।
Comments