ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েরা
ফাইনালের আগেই ভারতকে একবার উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের কিশোরীরা। ফাইনালেও দেখা গেল সেই দাপট। তবে এবার ১ গোলের বেশি দিতে পারেনি। বাংলাদেশের হয়ে জয়সূচক গোলটি এসেছে শামসুন্নাহারের পা থেকে।
রোববার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ মেয়েদের ফুটবলের ফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ভারত। টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে ১৩ গোল করা বাংলাদেশ খায়নি একটি গোলও, জিতেছে সবগুলো ম্যাচ।
খেলার শুরুতেই গোল পেতে পারত বাংলাদেশ। খেলা শুরুর প্রথম মিনিটেই মাঝ মাঠ থেকে বল কেড়ে নিয়ে তহুরা-আনুচিংরা ঢুকে যায় ভারতের বক্সে। গোলকিপারের হাত থেকে বল কেড়ে বল জালে ঢুকালেও ফাউলের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।২১ মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিল অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা। কিন্তু গোলকিপারকে সামনে পেয়ে গড়বড় করে ফেলে সে।
৩১ মিনিটে বা দিক থেকে পায়ের কারিকুরি দিয়ে একক চেষ্টায় বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে যায় তহুরা খাতুন। কিন্তু তার নেওয়া শট ডানদিকের বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। পরের মিনিট পাঁচেক বাংলাদেশের আরও গোটা তিনেক আক্রমণ অফ সাইডে কাটা পড়ে। ৪১ মিনিটে আসে সাফল্য। মাঝমাঠ থেকে তহুরার-আনুচিংয়ের মধ্য থেকে বল দেওয়া নেওয়ায় জটলার মধ্যে পেয়ে যান শামসুন্নাহার। ডান পায়ের আলতু ছোঁয়া ভারতের জালে ঢুকিয়ে দিয়ে কমলাপুরে স্টেডিয়ামে জড়ো হওয়া দর্শকদের আনন্দে ভাসান।
বিরতির পর আরও তেতে উঠে বাংলাদেশ। মুহুর্মুহু আক্রমনে ব্যস্ত করে রাখে ভারতীয় ডিফেন্স। ৬০ মিনিটে নিজেদের রক্ষণ থেকে বল নিয়ে পাসিং ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বল নিয়ে আক্রমণে যায় গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। মনিকা চাকমার কাছ থেকে থ্রু পেয়ে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে ছুটে যান তহুরা। তার পায়ের কাজে ভড়কা যায় ভারতের রক্ষণ। ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে গোলকিপারকেও কাটিয়ে নিয়েছিলেন কিন্তু বল তার পা থেকে ছিটকে গেলে চোখ জুড়ানো এক গোল থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
পুরো ম্যাচে ভারতের মেয়েরা সুযোগ পেয়েছিল গোটা তিনেক। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মাহমুদা আক্তারকে পড়তে হয়নি কঠিন পরীক্ষায়, গোলবারে বেশিরভাগ অলস সময় কেটেছে তার।
শেষ ১৫ মিনিটে খেলার গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে আসছিল। সমতা ফেরার চেষ্টায় ভারত তবু কুলিয়ে উঠতে পারেনি। তাদের বেশিরভাগ আক্রমণ একাই ঠেকিয়ে দেন বাংলাদেশের রক্ষণভাগের আঁখি খাতুন। শেষ পর্যন্ত দেওয়া এক গোলই অনায়াসে আগলে রেখে জয় পায় বাংলাদেশের কিশোরীরা।
Comments