মিয়ানমারের সমালোচনার বিরুদ্ধে রাশিয়া, চীন

Myanmar Rohingya Refugee Crisis
কক্সবাজারের পালংখালী শরণার্থী শিবিরে পানি সংগ্রহে ব্যস্ত এক রোহিঙ্গা কিশোর। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়া, চীনসহ মিয়ানমারের কয়েকটি প্রতিবেশী মিত্রের আপত্তি উপেক্ষা করেই রবিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সেই সাথে মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত নিয়োগের জন্যও বলেছে সাধারণ পরিষদ। এই রেজুলেশনে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ ও তাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়া, চীন, কম্বোডিয়া, লাওস ও ফিলিপাইন। এছাড়া বেলারুশ, সিরিয়া ও জিম্বাবুয়েও মিয়ানমারের পক্ষাবলম্বন করে। সেদিন মুসলিম প্রধান দেশগুলোর সমন্বয়ে গঠিত ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রস্তাবটি ১২২ ভোটে সাধারণ পরিষদে পাশ হয়। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে মোট ১০টি দেশ। আর ২৪টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

পাশ হওয়া রেজুলেশনটিতে রাখাইনে ত্রাণ কর্মীদের অবাধ চলাচল, সকল রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রত্যাবাসন ও রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে মিয়ানমারে বিশেষ দূত নিয়োগের জন্যও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতি অনুরোধ করা হয়।

মিয়ানমারে বিশেষ দূত নিয়োগ নিয়ে জাতিসংঘের বাজেট কমিটি সবুজ সংকেত দেওয়ার পর সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাব তোলা হয়।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ৩০টি চৌকিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্বিচারে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে। নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে গত চার মাসে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বলছে, রোহিঙ্গাদের শত শত গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও তারা জানিয়েছে। আর জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নিধন’ বলেছে।

গত সপ্তাহে মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোটিউর ইয়াঙ্ঘি লি জানান, মিয়ানমার সরকার তাকে নিষিদ্ধ করেছে এবং সরকার তার সাথে আর কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago